প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে রাজি হননি তিনি। এই ‘অপরাধে’ পানশালার এক নর্তকীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল এক বাউন্সারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার হরিয়ানার করনালের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’বছর আগে অভিযুক্ত সন্দীপ কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিল ২৩ বছরের ওই তরুণী। সম্প্রতি মামলাটি তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিল সন্দীপ। শুক্রবারই আদালতে বিবৃতি রেকর্ড করতে যাওয়ার কথা ছিল তরুণীর। তার আগেই সব মিটমাট করার প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত। তাতে রাজি না হওয়ায় সন্দীপ মাথায় ও বুকে গুলি করে তরুণীকে খুন করে বলে অভিযোগ। কী হয়েছিল সে দিন? নিহতের মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে সন্দীপ। তিনি বলেছেন, ‘‘শুক্রবার খুব ভোরে সন্দীপ আমাদের বাড়ি এসেছিল। কয়েক মিনিটের জন্য মেয়েকে গাড়িতে কথা বলতে ডাকে। কিন্তু মেয়ে না বেরোনোয় সন্দীপ চলে যায়। কয়েক ঘণ্টা বাদে সে আমায় ফোন করে বলে, ধর্ষণের মামলা তুলে না নিলে মেয়েকে খুন করবে।’’ নিহতের এক বান্ধবী আবার জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে সন্দীপ ডাকায় দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কয়েক জন বান্ধবী। সাড়ে ছ’টা নাগাদ গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ এক্সপ্রেসওয়ের খুশবু চকের কাছে জোর করে তরুণীকে গাড়ি থেকে নামায় সন্দীপ। মামলা তুলে না নিলে খুন করার হুমকি দেয়। তরুণী রাজি না হলে সন্দীপ গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন ওই বান্ধবী।
চার বছর আগে গুরুগ্রামের এক পানশালায় কাজ করার সময়ে সন্দীপের সঙ্গে আলাপ তরুণীর। দু’বছর তারা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু সন্দীপ বিবাহিত শুনে ২০১৭-র মার্চে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন তরুণী। সন্দীপকে গ্রেফতার করা হলেও জুনে জামিন পেয়ে যায় সে। পুলিশ জানতে পেরেছে, তার পরে ফের একসঙ্গে থাকতেন দু’জন।