কবিতা পাটিল। ছবি সংগৃহীত।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী, এমন সন্দেহে প্রায়ই অশান্তি হত সংসারে। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া মাঝেমধ্যেই চরমে উঠত। সেই অশান্তির জেরেই সোমবার চরম পদক্ষেপ করলেন এক মহিলা। আত্মহত্যা করার আগে নিজের হাতের তালুতে একটা সুইসাইড নোটও লেখেন তিনি। তাতে ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের তেজাজি নগর এলাকার বাসিন্দা কবিতা পাটিলের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ি ফাঁকা থাকায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, বছর ২০ আগে পঙ্কজ পাটিলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কবিতার। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা কারণে অশান্তি হত তাঁদের মধ্যে। তবে বছর দুই আগে পঙ্কজ এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে কবিতাকে মারধরও করতেন পঙ্কজ। রোজ রোজ একই ঘটনা ঘটায় মানসিক আবসাদেই আত্মহত্যা করেন কবিতা।
কবিতার ভাই জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, দিদি তাঁদের কাছে জামাইবাবুর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে বলেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কবিতার বাপের বাড়ির লোকেরা পঙ্কজকে নিয়ে আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভা হয়নি বলে জানিয়েছেন কবিতার ভাই। বিষয়টি কেন পাঁচকান হয়েছে, তা নিয়ে কবিতাকে মারধর করতেন পঙ্কজ। জিতেন্দ্র আরও জানিয়েছেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন আত্মহত্যার আগেও জামাইবাবুর সঙ্গে দিদির অশান্তি হয়েছিল। পঙ্কজ কী ভাবে তাঁর উপর অত্যাচার করতেন, হাতে সেই সব লিখে গিয়েছেন কবিতা।
জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘কবিতা এবং পঙ্কজের দুই সন্তান রয়েছে। এক ছেলে এক মেয়ে। ২০ বছর আগে কবিতা এবং পঙ্কজের বিয়ে হয়েছিল। তবে দু’বছর আগে পঙ্কজের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক কবিতার সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি করে। সংসারে চিড় ধরে।’’
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। কবিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পঙ্কজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পঙ্কজকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিশ সূ্ত্রে খবর।