National news

আরও টাকা চাই! স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী বধূ

আরও টাকা চাই। আরও... আরও টাকা। যত দিন যাচ্ছিল টাকার চাপ তাঁর উপর ক্রমশ বাড়ছিল। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে সেই চাপ মেনে নিতে না পেরে শেষমেশ আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন এক গৃহবধূ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ১৩:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আরও টাকা চাই। আরও... আরও টাকা। যত দিন যাচ্ছিল টাকার চাপ তাঁর উপর ক্রমশ বাড়ছিল। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে সেই চাপ মেনে নিতে না পেরে শেষমেশ আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন এক গৃহবধূ। রবিবার শ্বশুরবাড়িরই একটি বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের গাচিবাউলির ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম ভি ভিনীলা (৩৩)। তিনি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ভিনীলার মা উদয়লক্ষ্মী মেয়ের স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

ভিনীলার বাপের বাড়ি নেল্লোরের গুদুরে। ২০১০ সালে গাচিবাউলির বিক্রম জয় সিন্‌হার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পাত্র পক্ষের চাহিদা মেনেই নগদ টাকা আর সোনার গয়নায় মেয়েকে প্রায় মুড়ে দিয়েছিলেন উদয়লক্ষ্মী। বাপের বাড়ি থেকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা এবং ৪০ তোলা সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিক্রম পেশায় স্টক ব্রোকার। পণের সবই বিক্রম স্টক মার্কেটে খুইয়ে ফেলেন। আর তার পরই টাকার জন্য ভিনীলার উপর চাপ বাড়তে থাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কালো জাম থেকে সস্তার সৌর সেল বানালেন ভারতীয় বিজ্ঞানী!

উদয়লক্ষ্মীর অভিযোগ, বিক্রম বার বারই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য জোর দিতেন। তাতে সঙ্গ দিতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও। বিশেষ করে বিক্রমের মা বাণী। কিন্তু ভিনীলা বাপের বাড়ি থেকে আর টাকা আনতে চাইতেন না। ঘটনার দিনও তাই হয়। ভিনীলার উপর অত্যাচার শুরু করে টাকা। তা মেনে নিতে না পেরেই ওই দিন ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিনীলা আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাঁকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

মিয়াপুর পুলিশের এসিপি এস রবি কুমার জানান, ৩০৪-বি ধারায় (পণের জন্য মৃত্যু) বিক্রম এবং তাঁর মা বাণীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement