প্রতীকী ছবি।
তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তিন জনের বিরুদ্ধে। তার পর একটি স্কুলের সামনে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আত্মহত্যা করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগরের ঘটনা। কন্যার মৃত্যুর জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন নির্যাতিতার বাবা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ অগস্ট তিন যুবকের সঙ্গে গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন মহিলা। অভিযোগ, তিন জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। তার পর গ্রামেরই একটি স্কুলের সামনে ফেলে দিয়ে পালান তাঁরা। গ্রামেরই এক ব্যক্তির কাছ থেকে কন্যার খবর জানতে পেরে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা।
নির্যাতিতার বাবা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “একটি হাই স্কুলের কাছ থেকে মেয়েকে উদ্ধার করি। এক জনের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্কুলের কাছে যাই। সেখানে গিয়েই মেয়েকে দেখতে পেয়েছিলাম। মেয়ের কাছে সব ঘটনা শোনার পর ১০৯০ হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তার দু’ঘণ্টার মধ্যেই মেয়ে আত্মহত্যা করে।”
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, এই ঘটনার পর পুলিশের কাছে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা নিতে চায়নি। বরং আত্মহত্যার একটি মামলা রুজু করে তারা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত সাব-ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করে প্রশাসন। তার পরই ১৯ অগস্ট দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০ অগস্ট আরও এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়।