গাড়িতে হঠাৎ আগুন। দিল্লির অক্ষরধাম উড়ালপুলের মাঝামাঝি পৌঁছে টের পেয়ে প্রথমে গাড়িটিকে রাস্তার এক ধারে সরিয়ে নিয়ে যান উপেন্দ্র মিশ্র। তাঁর পাশের আসনে বসে থাকা ছ’বছরের মেয়েকে নিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। পিছনের আসন থেকে বেরোতে পারেননি তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা মিশ্র (৩৪) এবং ওই দম্পতির ১ এবং ৫ বছরের দুই মেয়ে। প্রাথমিক অনুমান, সিএনজি লিকের ফলেই এই দুর্ঘটনা। যদিও রবিবারের এই ঘটনার জন্য ৩৬ বছরের উপেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন অঞ্জনার পরিবার।
২০০৫ সালে বিয়ে হয় অঞ্জনা ও উপেন্দ্রর। অঞ্জনার ভাই ব্রজ জানান, ১৩ বছরের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে বেরোন উপেন্দ্র। সঙ্গে ছিল তাঁদের তিন মেয়ে।
পুলিশ জানায়, উপেন্দ্র একটি গাড়ির শোরুমে কাজ করেন। অঞ্জনা গৃহবধূ। অঞ্জনার পরিবারের দাবি, বহু বারই উপেন্দ্র অঞ্জনাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। ছেলের আশায় প্রথম মেয়ে হওয়ার পর থেকেই অঞ্জনার উপরে অত্যাচার শুরু করে উপেন্দ্র। গ্যাস সিলিন্ডার খুলে স্ত্রীকে একবার পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা করে। ওর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও রয়েছে বলে মনে করেন অঞ্জনার পরিজনেরা। এমনকি অঞ্জনার পরিবারকে দুর্ঘটনার খবরও পর্যন্ত দেননি উপেন্দ্র।
অভিযোগ উড়িয়ে উপেন্দ্র জানান, শুক্রবার গাড়িটি একটি অ্যাপ ক্যাব সংস্থা থেকে তাঁর ভাইয়ের জন্য লিজে নিয়েছিলেন। রবিবার ছুটি থাকায় ওই গাড়িতে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যান।