(বাঁ দিকে) মৃত যুবক দীপক কুমার। অভিযুক্ত স্ত্রী শিবানী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
স্বামী রেলে কাজ করেন। তাঁকে এমন ভাবে মারার পরিকল্পনা করেছিলেন যে, সেটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানো যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যুবকের পরিবারের সন্দেহে ময়নাতদন্ত করতেই হুলস্থুল পড়ে যায় উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে।
উত্তরপ্রদেশের এই শহরে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর রেলের চাকরি পেতে তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন মহিলা। স্বামীর মৃত্যু হলেই সেই চাকরি তিনি পাবেন, এই আশায় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। মৃতের নাম দীপক কুমার। তাঁর অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম শিবানী।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবানী এক দিন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান যে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দীপকের। কিন্তু দীপকের পরিবার জানত তাঁর হৃদ্যন্ত্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ছিল না। তাই তারা এই মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করে দীপকের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যখন হাতে পায় পুলিশ, তখন তারা দেখে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি দীপকের। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তার পরই পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দীপকের পরিবার। সেই অভিযোগ পেয়ে শিবানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর রেলের চাকরি ‘হাতাতে’ তাঁকে খুন করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন শিবানী। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বিয়ের আগে থেকেই অন্য এক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই বধূর। দীপক রেলে কাজ করেন— এটা জানার পর তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর অন্য অভিসন্ধি ছিল। ভেবেছিলেন, নিজের নামে চাকরি পাকা করে প্রেমিকের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ঘর-সংসার করবেন। তাই দীপককে খুনের পরিকল্পনা করেন শিবানী। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, দীপকের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন ওই বধূ। দীপক অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর সেই দেহ নিয়ে ঘরে বেশ কিছু ক্ষণ কাটানোর পর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিবানীর প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।