প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় থাকা দেশের অন্তত কুড়ি কোটি কর্মচারীর পক্ষে সুখবর!
তা সে ঋণই হোক বা কোনও সংস্থার চাকরি ছেড়ে যদি আপনি অন্য সংস্থায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য আপানাকে আর হাপিত্যেশ অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না মাসের পর মাস।
সংস্থা বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই আপনার হাতে টাকা পৌঁছে যাবে। যে সংস্থা ছেড়ে যাচ্ছেন, তার কর্তৃপক্ষ কবে আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নেওয়ার আবেদনে সই করবেন, তার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি সরাসরিই আবেদন জানাতে পারবেন প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে।
তবে তার জন্য আপনার হাতে থাকতে হবে কয়েকটি জিনিস। সেগুলি কী কী?
এক, আমার-আপনার আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও একেবারে নিজের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আর ওই তিনটি একই সঙ্গে থাকতে হবে। কোনও একটি বা দু’টি থাকলে হবে না। আর ওই তিনটিকেই আপনার ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নাম্বার (ইউআন)-এর সঙ্গে ‘লিঙ্ক্ড’ হতে হবে। আর যে সংস্থায় আমি-আপনি চাকরি করছি বা করতাম, আমাদের ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ (কেওয়াইসি) আবেদন পত্র তাদের দিয়ে ‘ভেরিফাই’ করিয়ে রাখতে হবে।
দুই, তবে আগে চাকরি বদলালে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য কম করে যে দু’মাস সময় লাগত, সেই সময়সীমা বহালই থাকছে।
তিন, এক চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিতে যাওয়ার সময় প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য আমাকে-আপনাকে যে আবেদন করাতে হয়, সেই আবেদন পত্র আর আগের মতো সংস্থার কর্তৃপক্ষকে দিয়ে ‘অ্যাটেস্ট’ করাতে হবে না। এর মানে, আপনার ছেড়ে আসা সংস্থার কর্তৃপক্ষ যদি আপনার ওপর চটে থাকেন, তার জন্য অন্তত আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা হাতে পেতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না।
চার, এ বার আমি-আপনি সশরীরে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে গিয়ে বা অনলাইনে আবেদন পাঠিয়েই টাকা হাতে পেয়ে যাব।
পাঁচ, তার জন্য অবশ্য প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ এ বার একটি নতুন ‘ফর্ম’ দেবেন। তা পূরণ করে আমাদের জমা দিতে হবে।
ছয়, আর বাড়ি বানানো, গৃহঋণ মেটানো বা ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য নেওয়া ব্যাঙ্কের ঋণ মেটাতে আপনি যদি প্রভিডেন্ট ফান্ডের একটা অংশ তুলে নিতে চান, তার জন্য আপনাকে এ বার ৩১ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে।