কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ কি নিজের নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন? কংগ্রেসের অন্দরে এই নিয়ে জল্পনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে আজাদ যে ভাবে জনসভা করে বেড়াচ্ছেন এবং সেখানে কংগ্রেসের সমালোচনা করছেন, তা থেকেই এই সম্ভাবনার কথা ছড়িয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। আজাদ নিজে অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলেননি এখনও। তবে আজাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের ২০ জন নেতা গত দু’সপ্তাহে দলের পদ ছেড়েছেন।
কংগ্রেসে গাঁধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম মুখ আজাদ। রাজ্যসভা থেকে অবসর গ্রহণের দিন তাঁর জন্য চোখের জল ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার পুঞ্চে একটি জনসভায় আজাদ বলেছেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৩০০ আসন পাবে বলে তিনি মনে করেন না। সেই সঙ্গে ৩৭০ ধারা রদের ব্যাপারে আগের কঠোর প্রতিবাদী ভূমিকাও তিনি ত্যাগ করেছেন। আজাদ ইদানীং বলছেন, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো আর বিধানসভা নির্বাচন করানোর জন্য চাপ দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
প্রায় চার দশক ধরে সাংসদ ছিলেন গুলাম নবি। তাঁর জনসভায় উপচে পড়া ভিড় দেখে কংগ্রেস শিবিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে অনেকেই বলছেন, গুলাম নবি নিজে দল গড়লে প্রদেশ কংগ্রেসের তো বটেই, অন্যান্য দল থেকেও অনেকেই তাঁর দিকে চলে আসবেন। জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের মুখপাত্র রবীন্দ্র শর্মার বক্তব্য, ‘‘দল গুলাম নবিকে সম্মান করে। আমরাও করি। কিন্তু শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে সকলকেই। গুলাম নবির ঘনিষ্ঠ অনেকেই যে সব বিবৃতি দিচ্ছেন, তা দৃশ্যতই দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।’’
সম্প্রতি কংগ্রেসের দলীয় পদত্যাগী ২০ জনের অন্যতম জি এন মঙ্গার দাবি, ‘‘আমরা হাইকমান্ডকে বলেছি, দলে অনেকগুলো সমস্যা আছে। সেই সমস্যাগুলোকে সমস্যা বলে মানা হোক। আমরা চাই, সমস্যার সমাধান হোক। আজাদ সাহেব আমাদের নেতা, বহু বছর ধরেই তিনি আমাদের নেতা।’’ বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমদ মিরের অপসারণে দাবিও তুলেছেন তাঁরা।