ডেঙ্গিতে প্রয়াত কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রীর স্ত্রী। ছবি: এক্স।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরামের স্ত্রী ঝিঙ্গিয়া। শনিবার রাতে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা ৫০মিনিটে ভুবনেশ্বরে এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী জুয়াল ওড়িশায় বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তিনি নিজেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং ওই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি।
শনিবার রাতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন মোহনচরণ। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুকেশ মহলিং, ওড়িশা বিধানসভার অধ্যক্ষ সুরমা পাধি-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাও শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী-জায়াকে। উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের মার্চে জুয়ালের সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল ঝিঙ্গিয়ার। সক্রিয় রাজনীতিতে সে ভাবে না থাকলেও, সমাজকর্মী হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি ছিল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “জুয়ালের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর স্ত্রীর।” সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে প্রকাশ, পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় জুয়ালের গ্রামের বাড়িতেই মন্ত্রীর স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
গত ৯ দিন ধরে ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর ফুসফুসে ফাইব্রোসিস ছিল। একই সঙ্গে ডেঙ্গিতেও ভুগছিলেন। স্ত্রীর প্রয়াণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তাঁর প্লেটলেট ৬০ হাজারে নেমে গিয়েছিল। অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। আমার স্ত্রী নিজের কাঁধে একটি বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, সেই কারণেই আমি রাজনীতিতে মন দিতে পেরেছি।”