স্ত্রীর মুখে ‘দাড়ি’ রয়েছে। তাঁর গলার স্বরও পুরুষালি। আর সেই অভিযোগ তুলে ডিভোর্সের আবেদন করলেন গুজরাতের এক ব্যক্তি। যদিও এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমদাবাদে। কয়েক সপ্তাহ আগেই রূপার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে বিয়ে হয় রমেশের (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু, কিছুদিন পরেই স্থানীয় এক পারিবারিক আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেন রমেশ। তিনি দাবি করেন, ঠকিয়ে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে রূপার। রমেশের অভিযোগ, বিয়ের আগে মাত্র এক বার তাঁদের মধ্যে দেখা হয়েছিল। কিন্তু, বোরখা পরে থাকায় তিনি রূপার মুখ দেখতে পাননি। কথাও হয়নি। রীতিবিরুদ্ধ হওয়ায় রূপার মুখ দেখার চেষ্টাও করেননি— আদালতে এমনই অভিযোগ করেছিলেন রমেশ।
রমেশের অভিযোগ, বিয়ের পর রূপার আসল ‘রূপ’ দেখতে পান তিনি। এর পরই ডিভোর্সের আবেদন।
যদিও রমেশের সেই অভিযোগ গুরুত্ব দেননি বিচারক এন এম কারোভাদিয়া। বিচারক বলেন, ‘‘বিষয়টি পুরোপুরি হরমোন ঘটিত। চিকিৎসা করলে তা সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।’’ এই যুক্তিতেই ডিভোর্সের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: রাহুলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা মোদীর, তোড়জোড় কংগ্রেসে
অন্য দিকে ওই মহিলার অভিযোগ, ডিভোর্সের জন্য নানা রকম যুক্তি দিচ্ছেন রমেশ ও তার পরিবার। এমনকী, বা়ড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও আদালতে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: কেজরী-টুইটে প্রধানমন্ত্রীই লক্ষ্য রাহুলের