প্রতীকী ছবি।
ফন্দিটা খারাপ আঁটেননি। মৃত মানুষের তো আর সাজা হয় না! জলজ্যান্ত স্বামীকে তাই মৃতই বানিয়ে দিয়েছিলেন স্ত্রী।
ভেবেছিলেন বোধহয় এ যাত্রায় পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু রেহাই মিলল না। স্বামী জেলযাত্রা থেকে রক্ষা তো পেলই না, স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীও এখন শ্রীঘরে বন্দি।
ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামীকে বাঁচানোর অভিযোগে সোমবার ওই অপরাধীর স্ত্রীকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন মিজোরামের লুংলেই-এর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক। ধর্ষণের অপরাধে তাঁর স্বামী মুনি রাইয়ের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুনি রাই এবং তার স্ত্রী মিজোরামের লওগৎলাই জেলার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে মুনি এক দৈহিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে সে সময়ে গ্রেফতার হয়েছিল মুনি। মামলা চলাকালীনই জামিনে সে মুক্তি পায়। কিন্তু স্বামী যে সাজার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না তা ঠারেঠোরে বুঝে গিয়েছিলেন মুনির স্ত্রী। তখনই ফন্দি আঁটে জীবিত স্বামীকে ‘মৃত’ হিসাবে দেখাবে আদালতে। সে জন্য স্থানীয় এক চিকিৎসকের সই জাল করে নকল ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে নেয় স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বান্ধবী আত্মহত্যা করেছে, ভুয়ো খবরে ১১ বছরের কিশোরের আত্মহনন!
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার শুনানি চলাকালীন মুনির স্ত্রী আদালতে এসে ওই ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে জানান, তাঁর স্বামী বেশ কিছু দিন আগে মারা গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটটা হাতে নিয়েই সন্দেহ হয় বিচারকের। সার্টিফিকেটে যে চিকিৎসকের সই রয়েছে তাঁর সঙ্গে পুলিশকে যোগাযোগের নির্দেশ দেন তিনি। ওই চিকিৎসক জানান, এমন কোনও ডেথ সার্টিফিকেট তিনি দেননি। তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
এর পরেই মুনির স্ত্রীকে জেরা করে জানা যায়, স্বামী মুনি কোলাশিব জেলায় রয়েছে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় মুনিকে।