আজ বৃহস্পতিবার দমদম বাজারে সব্জি্র দামের তালিকা তুলে ধরা হল। আলু (জ্যোতি) ১০, আলু (চন্দ্রমুখী) ১৬, রসুন ১০০, আদা ১০০, পেঁয়াজ ৫০, বেগুন ৪০, পটল ৮০, ঢ্যাঁড়শ ৮০, সিম ৮০, টোম্যাটো ৮০, লঙ্কা ১০০, ফুলকপি ২০ (পিস), বাঁধাকপি ৩০ (পিস), মটরশুঁটি ১০০, মুলো ৪০, বিন ১০০, ক্যাপসিকাম ২০০, গাজর ৮০, পেঁয়াজকলি ১২০, লাউ ২৫ (পিস), চালকুমড়ো ৩০ (পিস), কুমড়ো ২৫।
ধরা যাক, ২০১২ সালে সব্জির মোট দাম ছিল ১০০ টাকা। অর্থনীতির ভাষায়, এটাই ওই বছর সব্জির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স(সিপিআই)বা উপভোক্তা মূল্য সূচক। তার পরের পাঁচ বছরে তার মাত্রা বেড়েছে। কিন্তু এ বার যেন সেই সূচক ভীষণ রকমের ঊর্ধ্বমুখী। এ বছরের মে-জুন মাসে সেই সূচক ছিল যথাক্রমে ১২৫.৬ এবং ১৩৩.৩। তবে চলতি মাস অর্থাৎ নভেম্বরে সেই সূচক পৌঁছেছে ১৪১.৯-এ।
এমনটা সাধারণত দেখা যায় না বলেই মত বাজার বিশেষজ্ঞদের। বছরের মে-জুন মাস নাগাদ সব্জির দাম অনেকটা বেশি হয়। অক্টোবর-নভেম্বরে এসে তা কমতে থাকে। তবে গোটা দেশে জুড়ে এ বার পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
দেশের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিক সময়ের অনেকটা পরেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এর ফলে শীতকালীন ফসল যেমন— টোম্যাটো, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, পালং শাক, আদা, কুমড়ো, কড়াইশুঁটির ফলন এ বছর বেশ কম।
দেশের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিক সময়ের অনেকটা পরেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এর ফলে শীতকালীন ফসল যেমন— টোম্যাটো, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, পালং শাক, আদা, কুমড়ো, কড়াইশুঁটির ফলন এ বছর বেশ কম।
তবে এটাই এ সময় সব্জির দাম বাড়ার কারণ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে নোটবন্দিকেও একটি ফ্যাক্টর বলে ধরা হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে নোটবাতিল হয়েছিল। তার পর থেকে নগদ নিয়েও খানিকটা সমস্যা তৈরি হয়। এর জেরে এ বছরের গ্রীষ্মে টোম্যাটোর মতো অনেক সব্জি বেশি পরিমাণে চাষ করতে পারেননি কৃষকরা।
নোটবন্দির কারণে এ বছরের শুরুতে কৃষকরা সে ভাবে সব্জির দামও পাননি। তাই শীতের সব্জি চাষের ক্ষেত্রে হয়তো অনীহা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি রিপোর্ট।
একই সঙ্গে জিএসটিকেও একটি কারণ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আগে সব্জি কেনা, বিক্রি এবং মজুত করার মতো কাজ খুব সহজেই করা যেত। তবে আয়কর দফতরের কড়া নজরে সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।
এই শীতে সব্জির দামের সেই কোপ থেকে রেহাই মিলবে কি না তা এখনও সুনিশ্চিত করে বলতে পারেনি কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স।