প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কোকরনাগে গত বুধবার থেকে চলা সন্ত্রাসদমন অভিযানে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন সেনা বাহিনীর এক মেজর, জঙ্গি মোকাবিলার বিশেষ বাহিনী রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক কমান্ডিং অফিসার এবং কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপি। শুক্রবার মারা গিয়েছেন আরও এক জওয়ান। কিন্তু অনন্তনাগের ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজস্ব এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তৃণমূল প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে লিখেছে, “অনন্তনাগের ঘটনার দু’দিন অতিক্রান্ত। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবার কাঁদছে। পুরো রাষ্ট্র শোকাহত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখনও চুপ। কেন?” শুধু প্রধানমন্ত্রী নন বিজেপির কোনও নেতাই এখনও পর্যন্ত কোনও শব্দ খরচ করেননি অনন্তনাগের ঘটনা নিয়ে। এই নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। বুধবার যখন অনন্তনাগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ চলছে, সেদিনই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে জি২০ সম্মেলনের সাফল্য উদ্যাপনে মহা ধুমধামে পুষ্পবৃষ্টি করে অভিনন্দন জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই নিয়েও বৃহস্পতিবার কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল, কংগ্রেস, আপ-সহ অন্যান্য বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর থেকে অনন্তনাগের কোকেরনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর। চলতে থাকে অবিরত গুলির লড়াই। সেই সংঘর্ষে নিহত হন কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস ধনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। তিন জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ‘রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’ নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। তারা লস্কর-ই-তইবার একটি অংশ। জঙ্গিদের খোঁজে শুক্রবারও ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সেনা। শুক্রবার আরও এক জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।