রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন দু’জনেই। এক জন ক্রমাগত রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে চলেছেন। অন্য জন আপাতত তামিলনাড়ুর রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায় সে দিকে নজর রাখতে চাইছেন বলে ধারণা অনেকের। আজ প্রয়াত শিবাজি গণেশনের স্মারক উদ্বোধন উপলক্ষে এক মঞ্চে এলেন রজনীকান্ত ও কমল হাসন। ফলে ফের বাড়ল জল্পনা।
সম্প্রতি রজনীকান্তকে রাজনীতিতে এসে তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে সরাসরি অনুরোধ করেছেন হাসন। তারপরে এই প্রথম এক মঞ্চে এলেন দু’জন। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম-সহ রাজনৈতিক নেতারাও। শাসক এডিএমকে-র কট্টর সমালোচক হাসন ওই মঞ্চেও পনীরসেলভম ও পলানীস্বামী শিবিরের সমালোচনা করেন। পরে রজনীকান্ত বলেন, ‘‘সিনেমায় সাফল্য পেলেই রাজনীতিতে সফল হওয়া যায় না। প্রয়াত শিবাজি গণেশনই তার প্রমাণ।’’ পরে হাল্কা সুরে তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিতে সফল হতে গেলে আরও কিছু বিশেষ গুণ প্রয়োজন। সেটা কী তা আমার বন্ধু কমল হাসন বোধহয় জানেন। তবে তিনি ওই গোপন কথাটা যে আমাকেও বলবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।’’
আরও পড়ুন: বুলেট ট্রেনে কপালে ভাঁজ বিজেপির
তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক ইতিহাসে অভিনেতা-রাজনীতিকের ছড়াছড়ি। শিবাজি গণেশন সফল হননি। কিন্তু তাঁর সমসাময়িক এম জি রামচন্দ্রন হয়েছিলেন। রামচন্দ্রনের পথ ধরে এগিয়েছিলেন জয়ললিতা। রাজনীতিকদের মতে, রজনীকান্ত গত কয়েক মাসে রাজনীতিতে আসা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছেন। রাজনৈতিক নেতা ছা়ড়াও নিজের ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু ভক্তেরা যে তাঁকে ভোটও দেবেন, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন তিনি। অন্য দিকে হাসন এখনও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। রজনী ঘনিষ্ঠ শিবিরের মতে, হাসন খুব দ্রুত এগোতে চাইছেন বলে মনে করেন রজনীকান্ত। ফলে বন্ধুকে কিছু ‘পরামর্শ’ দিতে চেয়েছেন তিনি। অন্য একটি শিবিরের অবশ্য ধারণা, হাসন রাজনীতির পথে কিছুটা এগিয়ে গেলে রজনীকান্ত তাঁর হাত ধরবেন। রাজনীতি শুরুর ক্ষেত্রে নিজেই উদ্যোগী হতে রাজি নন রজনী।
১৯৭০-এর দশকে একসঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন রজনী ও হাসন। সমসাময়িক অনেকের দাবি, পরে আলাদা আলাদা ছবি করার প্রস্তাব দেন হাসনই। তিনি মনে করতেন, একসঙ্গে ছবি করা বন্ধ না করলে নায়ক হিসেবে তাঁর ও রজনীকান্তের আলাদা পরিসর তৈরি হবে না। এক দক্ষিণী রাজনীতিকের কথায়, ‘‘কয়েক দশক পরে বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো। এ বার রাজনীতিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন হাসন। রজনী কী করেন, সেটাই দেখার।’’