ছবি: পিটিআই।
তিনি আয়েঙ্গার। আয়েঙ্গাররা কট্টরপন্থী হিন্দু ব্রাহ্মণ, যাঁদের শেষকৃত্য হয় কাঠের চিতায়। কিন্তু জয়ললিতাকে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিল রাজ্য সরকার? শেষকৃত্যের দায়িত্বে থাকা সরকারি এক মুখপাত্রের জবাব, ‘‘আমাদের কাছে আম্মা শুধু আয়েঙ্গার নন। যে কোনও জাত-ধর্ম, সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে তিনি এক মহান মানুষ। যেমন ছিলেন পেরিয়ার, আন্না দুরাই বা এম জি রামচন্দ্রন। এই সব দ্রাবিড় নেতাদের দেহ সমাহিত করা হয়েছে। আম্মার ক্ষেত্রেও তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
ওই কর্তা জানান, জনপ্রিয় নেতা-নেত্রীদের দেহ পোড়ার দৃশ্য খুব মনোরম নয়। তাই চন্দন কাঠ ও গোলাপ জল দিয়ে তাঁদের কবরস্থ করা হয়। মঙ্গলবার যেমন করা হল জয়ললিতাকে। তবে অন্য তিন দ্রাবিড় নেতার মতো নিরীশ্বরবাদী ছিলেন না জয়া। পুজো-আচ্চা করতেন। অনেকে বলছেন, আসল কারণ এটা নয়। মুখাগ্নিতে দরকার কোনও পরিজনের। কিন্তু জয়ার একমাত্র ভাইঝি দীপা জয়কুমারকে ঘেঁষতে দিতে রাজি নন শশিকলারা।