কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।-ফাইল চিত্র।
ইরাকের মসুলে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হাতে পণবন্দি ৩৯ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করতে সরকার কেন এত দেরি করল, তা নিয়ে সংসদ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সর্বত্রই। প্রশ্ন তুলেছেন মৃত পণবন্দিদের এক জনের বোন গুরপিন্দর কৌরও। আর তা নিয়ে মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্য চলছে ফেসবুক, টুইটারে।
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাজ্যসভায় ওই ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস। প্রশ্ন তোলা হয়, খবরটা অনেক দিন ধরে থাকা সত্ত্বেও, কেন তা ঘোষণা করতে এত দেরি করল সরকার? সব কিছু জেনেও কেন মৃতদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের দীর্ঘ দিন ধরে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাওয়া হল? কেন মৃতদের পরিবারদের সরকার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছে, পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যাবতীয় চেষ্টা চলছে? কী ভাবে ওই পণবন্দিদের খুন করা হল, কোথায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের খুন করা হয়েছে? সরকার সবিস্তারে এ সব জানাচ্ছে না কেন?
এ দিন তাঁর টুইটে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী লিখেছেন, ‘‘ইরাকে ২০১৪ সালে পণবন্দি ৩৯ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর সরকার এত দেরিতে ঘোষণা করায় আমি মর্মাহত।’’
আরও পড়ুন- মসুলে অপহৃত ৩৯ ভারতীয় মৃত, জানালেন সুষমা স্বরাজ
আরও পড়ুন- বিরোধীদের হট্টগোলে আটকে গেল অনাস্থাও
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে মৃত পণবন্দিদের এক জনের বোন গুরপিন্দর কৌর বলেছেন, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁকে প্রতিবারই বলে গিয়েছেন, পণবন্দিরা সকলেই বেঁচে আছেন। তাঁরা কোথায়, কখন থাকছেন, সে ব্যাপারেও সরকার খবরাখবর রেখে চলেছে।
মৃতদের আত্মীয়স্বজনকে দীর্ঘ দিন ধরে ওই ‘মিথ্যা আশ্বাস’ দিয়ে চলার জন্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকটি ভারতীয় নাগরিকই এই ঘটনায় মর্মাহত। সরকার এত দেরি করল কেন? সরকারের জানানো উচিত, কোথায় কী ভাবে তাঁদের খুন করা হয়েছে। যে ভাবে সরকার মৃতদের পরিবার, পরিজনকে অযথা আশ্বাস দিয়ে গিয়েছে, তাও ঠিক নয়।’’
টুইটে একই প্রশ্ন তুলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। লিখেছেন, ‘‘খবরটা তো অনেক আগেই জানা ছিল। আমরা আশা করেছিলাম, সরকার এটা আরও আগে ঘোষণা করবে। মৃত পণবন্দিদের পরিবারের লোকজন, যাঁরা ২০১৪ সাল থেকে তাঁদের স্বজনের আশায় ফিরে আসার থেকেছেন, তাঁদের কথা ভেবে আমি মর্মাহত।’’
এত দেরিতে সরকারি ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক গুলাম নবি আজাদের দাবি, মৃতদের পরিবার, পরিজনেদের আর্থিক সহযোগিতা দিক সরকার। তাঁদের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্র ও দেশের সবক’টি রাজ্য সরকারের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন আজাদ।