১৯৬২ সালে এ দেশে প্রথম পালিত হয় শিক্ষক দিবস। ওই বছরেই দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন রাধাকৃষ্ণণ।
তাঁর পদমর্যাদা এবং তাঁর কাজকে সম্মান জানিয়ে রাধাকৃষ্ণণের ছাত্ররা তাঁর জন্মদিনটিকে ‘রাধাকৃষ্ণণ দিবস’ হিসাবে পালন করার কথা ভেবেছিলেন।
কিন্তু ছাত্রদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন খোদ রাধাকৃষ্ণণ। নিজের নামে কোনও দিবস চাননি তিনি।
পৃথক ভাবে তাঁর জন্মদিন পালন না করে, পরিবর্তে ওই দিনটিকে দেশের সমস্ত শিক্ষকদের জন্য পালন করার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। তিনিই ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসাবে পালন করার কথা প্রস্তাব দেন। এর পর থেকে ওই দিনটি ‘শিক্ষক দিবস’ হিসাবে পালিত হয়।
১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুট্টানিতে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয় রাধাকৃষ্ণণের। বরাবরই পড়াশোনায় ছিলেন তুখোড়।
১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিষ্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর হন তিনি।
একাধারে ছিলেন বাগ্মী, অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ এবং অদ্বৈত বেদান্ত বাদ রচয়িতা এবং দার্শনিক। ভারতরত্ন উপাধি পেয়েছিলেন তিনি।
তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৯৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন (১৯৬২-১৯৬৭)।
বিশ্বের মোট ১৯টি দেশে এই দিন শিক্ষক দিবস পালিত হয়। কানাডা, জার্মানি, বুলগেরিয়া, আর্জেবাইজান, ইস্তোনিয়া, লিথোনিয়া, ম্যাকেডোনিয়া, মলদ্বীপ, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কুয়েত, কাতার, রাশিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, ইংল্যান্ড, মাউরেটিয়াস এবং মলদোভা।
ডুডলের মাধ্যমে এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করেছে গুগলও।