অন্য ভূমিকায়: পরিবেশ রক্ষার দাবিতে হাফ-ম্যারাথন। উদ্বোধনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। পাশে কর্নাটক কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি জি পরমেশ্বর। রবিবার বিজয়পুরায়। ছবি: পিটিআই।
সকালে রেডিও-য় মনের কথা থেকে সন্ধ্যায় সুরাতের সভা— নীরব মোদীর কেলেঙ্কারি নিয়ে রবিবারও নীরবই রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। গত লোকসভা ভোটের প্রচারে নিজেকে ‘চৌকিদার’ বলে দাবি করতেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি নিয়ে কটাক্ষ করে কর্নাটকে এক সভায় রবিবার রাহুল বলেন, ‘‘অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ তিন মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ কোটিতে পৌঁছেছেন! চৌকিদার খোঁজ নেননি, কথাও বলেননি! নীরব মোদী ২২ হাজার কোটি টাকা চুরির পান্ডা। তিনি দেশও ছেড়েছেন। কিন্তু দেশের চৌকিদার একটি শব্দও খরচ করেননি!’’
রবিবারই সুরাতে এক অনুষ্ঠানে ‘নতুন ভারত’ গড়ার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নতুন ভারত গড়তে হবে, যা হবে জাতপাতের রাজনীতি মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত এবং দুর্নীতি মুক্ত।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী মুখ না খুললেই ভাল! আর দুর্নীতির কথা? নীরব মোদীর কেলেঙ্কারি নিয়ে এত দিনে একবারও মুখ খুলতে পারেননি। অথচ রেডিওয় গোবর-ধন নিয়ে কথা বলছেন!’’
বিরোধীদের অভিযোগ, নীরব-কাণ্ডে প্রথমে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও পরে প্রধানমন্ত্রী নিজে গোটা ঘটনায় জন্য নজরদারি সংস্থাগুলিকে যে ভাবে দুষছেন, তাতে স্পষ্ট, মোদী সরকার দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে মরিয়া। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বিরোধীদের প্রশ্ন, ললিত মোদী থেকে বিজয় মাল্য হয়ে নীরব মোদী— একের পর এক কেলেঙ্কারি হয়েছে মোদী জমানায়। অপরাধীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েওছেন। মোদী সরকার কী করেছে?
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা গোবর-ধনে
আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। ওই অধিবেশনে নীরব ও পিএনবি কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর জবাব চেয়ে এক জোট বিরোধী শিবির যে সরব হবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে বিজেপি। এই আক্রমণের মোকাবিলা কী ভাবে করা যায়, সেই কৌশল তৈরিতেই এখন মরিয়া শাসক দল।