বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে শাহকে কটাক্ষ তারুরের।—ফাইল চিত্র।
নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গাঁধী, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন বেসরকারি হাসপাতালকেই চিকিৎসার জন্য বেছে নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। রবিবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে গুরুগ্রামের মেদান্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন অমিত শাহ। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারুর। তাঁর কথায়, ক্ষমতাশালীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আস্থা রাখলে, তবেই সেগুলির উপর আস্থা বাড়বে সাধারণ মানুষের।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাতেই এমসের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পিছনে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর অবদান স্মরণ করিয়ে টুইট করেন এক ব্যক্তি। সোমবার সেটি রিটুইট করতে গিয়েই অমিত শাহকে নিশানা করেন তারুর। তিনি লেখেন, ‘‘ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি যে, এমসে না গিয়ে পড়শি রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে চিকিৎসার জন্য বেছে নিলেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্ষমতাশালীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আস্থা রাখলে, তবেই সেগুলির উপর আস্থা বাড়বে সাধারণ মানুষের।’’
তবে সরকারি হাসপাতালের বদলে অমিত শাহ কেন বেসরকারি হাসপাতালে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে, গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছিলেন তারুর। তাতে তিনি লেখেন, ‘‘অমিত শাহ দ্রুত সেরে উঠুন এবং সম্পূর্ণ ভাবে করোনামুক্ত হোন, এই কামনাই করি।’’
শাহকে কটাক্ষ করে টুইট তারুরের।
আরও পড়ুন: ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর উপায়’ সার্চ করেছিলেন সুশান্ত, বলছে মুম্বই পুলিশ
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে কোয়রান্টিনে পাঠানো হল সুশান্ত-রহস্যের তদন্তকারী অফিসারকে, নিন্দায় নীতীশ কুমার
তবে অমিত শাহ একাই নন, করোনার চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালের উপর আস্থা রাখতে দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকেও। করোনায় সংক্রমিত হয়ে ভোপাল এবং বেঙ্গালুরুতে বেসরকারি হাসপাতালেই রয়েছেন তাঁরা। বাবার সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার মেয়েও। তবে করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার বদলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম।