Manik Saha

Tripura: দাঁতের ডাক্তার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ, পদ্মে এসেই পদে, ত্রিপুরা দেখছে মানিক-ম্যাজিক

দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা করাই নয়, একটা সময় পর্যন্ত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ছিলেন মানিক। ত্রিপুরার ক্রীড়া জগতেও দীর্ঘদিনের যোগাযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ১৯:৩৫
Share:

উল্কার গতিতে উত্থান।

ছিলেন চিকিৎসক। হয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বছর ছ’য়েকের। ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলা মানিক সাহার উত্থানে উল্কার গতি বলা হলে তা অত্যুক্তি হবে না। কারণ, ২০১৬ সালেই তিনি চিকিৎসার পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। তখন দু’দশকের বাম জমানার অবসান ঘটাতে তৎপর বিজেপি। দশরথ দেবের পরে তখন মানিক সরকার রাজ চলছে। বাম মানিকের জমানা শেষ করার স্বপ্ন নিয়েই রামের দলে যোগ দিয়েছিলেন অন্য মানিক। এর পরে রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যসভার সাংসদ হন। এ বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব।

Advertisement

দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা করাই শুধু নয়, একটা সময় পর্যন্ত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকও ছিলেন মানিক। ত্রিপুরার ক্রীড়া জগতেও দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে খুব কম সময়ের মধ্যেই হয়ে যান রাজ্য সভাপতি। দীর্ঘদিন লড়াই চালালেও উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বিশেষ শক্তি ছিল না বিজেপির। ক্ষমতা দখলের লড়াইও হয় সুনীল দেওধরদের মতো ভিন্‌রাজ্যের নেতাদের নিয়ে এসে। সরকার গঠনের শক্তি পেতে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার ছিলেন রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব। সেই মতো বিপ্লব মুখ্যমন্ত্রী হতেই রাজ্য সভাপতি হন মানিক।

গত এপ্রিল মাসেই বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠায় মানিককে। ৩ এপ্রিল শপথ নেন। হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৪১ দিনের মাথায় তাঁর নাম উঠে এল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। একে উল্কার গতি তো বলাই যায়!

Advertisement

তবে মানিক মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে নতুন প্রশ্ন তৈরি হবে ত্রিপুরা বিজেপিতে। এ বার কে হবেন রাজ্য সভাপতি? ইস্তফার পরে বিপ্লব জানিয়েছেন তাঁকে সংগঠনে কাজে লাগাতে চাইছেন নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁকে ফের রাজ্য সভাপতি করা হবে এমন জল্পনা নেই বিজেপির অন্দরে। এটাও শোনা যাচ্ছে, তাঁর জায়গা নেওয়া মানিকের পরিবর্তে বিপ্লবকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement