রাহুল গাঁধীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কারও কথা শোনেন না। এমনকী নিজের মন্ত্রী, সাংসদদের সঙ্গেও আলোচনা করেন না। আর আজই মন্ত্রিসভার রদবদলের পরে সব মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসলেন নরেন্দ্র মোদী।
কাল রাতেই মন্ত্রিসভার কমিটি ঢেলে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারামন ঠাঁই পান নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নির্মলা ও পীযূষ গয়ালকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটিতে। রেলমন্ত্রী হিসেবে আগে সুরেশ প্রভু এই কমিটির সদস্য ছিলেন না। আর অর্থ বিষয়ক কমিটিতে নির্মলা, পীযূষ ও ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পাকাপাকি নিয়ে আসা হয়েছে। সাম্প্রতিক রদবদলে এই তিন মন্ত্রীরই পদোন্নতি হয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে হরদীপ পুরীকে আনা হয়েছে আবাসন কমিটিতে। আর সংসদ বিষয়ক কমিটিতে প্রথম বার স্থান পেয়েছেন থাওরচন্দ্র গহলৌত। মুখতার আব্বাস নকভি ও সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বদলে সেখানে এলেন বিজয় গয়াল ও অর্জুন মেঘওয়াল।
মন্ত্রিসভার কমিটিগুলি ঢেলে সাজার পরেই আজ সব মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন মোদী। সেখানে সকলকে কাজ করার নির্দেশ যেমন দেন, তেমনই শোনান ২০২২ সালের মধ্যে ‘নতুন ভারত’ গড়ার স্বপ্ন। একই সঙ্গে ২ অক্টোবরের ১৫ দিন আগে থেকে সাফাই অভিযানেও সকলকে সক্রিয় হতে বলেন। বিজেপি সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদী এ বারও তাঁর জন্মদিনকে ‘সেবা দিবস’ হিসেবে পালন করবেন। তিনি সেদিন গুজরাতে থাকলেও সব নেতা-মন্ত্রীকে সাফাই-সহ জনসেবায় সক্রিয় হতে বলেছেন।
মোদীর বৈঠক নিয়ে বিজেপির এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘যখনই প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তখন খোলাখুলি কথা বলেন। রাহুল গাঁধীর অভিযোগ ধোপে টেকে না। যাঁরা নরেন্দ্র মোদীকে চেনেন না, তাঁরাই এমন কথা বলতে পারেন।’’ আর কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, তা একতরফা। তিনি শুধু বলেন, কিছুই শোনেন না। রাহুল গাঁধী প্রথমে শোনেন, তার পর বলেন। দু’জনের এটাই ফারাক।