শীতেও অশান্ত উপত্যকা। মাঝে কিছু দিনের বিরতির পর শুক্রবার শ্রীনগরে ফের শুরু হয়েছে পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া। ছবি: পিটিআই।
গুলি, ছররা, কার্ফু, অবরোধের ছ’টা মাস পেরিয়ে গিয়েছে। রোজকার শিরোনামে না থাকলেও কাশ্মীরের এ বারের শীত অন্যান্য বারের মতো নয়। শুক্রবার ফের শ্রীনগরের রাস্তায় পুলিশের দিকে পাথর ছুড়েছে কাশ্মীরের যুবকরা। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে পুলিশও।
শুক্রবার কলকাতায় এসেছিলেন শ্রীনগর থেকে প্রকাশিত ‘রাইজিং কাশ্মীর’ সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক সুজাত বুখারি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত চতুর্থ সন্দীপ্তা চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতায় তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, কাশ্মীর সত্যি কেমন আছে তার কতটুকু উঠে আসে মূল ভূখণ্ডের সংবাদমাধ্যমে?
এমনকী যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে কাগজ প্রকাশই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তখনও সংবাদজগতের বড় অংশ রা কাড়েনি।
সখেদে বুখারির দাবি, বেশির ভাগ সময়েই এক ধরনের ভ্রান্ত জাতীয়বাদের দায়ে একপেশে ছবি দেখানো হয় কাশ্মীর সম্পর্কে। তাঁর মতে, আফজল গুরুর ফাঁসির পর থেকে উপত্যকা ফুঁসছিল। কিন্তু তা যথাযথ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেনি সংবাদমাধ্যম। ফলে, ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুতে গোটা উপত্যকা কেন ফেটে পড়ল, তারও কার্যকারণ বুঝেও উঠতে পারেনি বাকি ভারত।
সরকারি তরফে প্রচার হচ্ছে, নোট বাতিলের জেরে বিক্ষোভকারীদের টাকা দেওয়া থমকে যাওয়াতেই পাথর ছোড়া কমে হয়েছে কাশ্মীরে। যদিও সরকারি হিসেবই বলছে, সেপ্টেম্বর থেকেই পাথর ছোড়া কমছিল। এবং বুখারি বলে গেলেন, টানা বাজারহাট বন্ধ থাকায় নোট বাতিলের ধাক্কা এক মাত্র এক জায়গাতেই তেমন অনুভূত হয়নি। সেটা কাশ্মীর।