উত্তেজনা ছড়াতে তাদের মাধ্যমকে ব্যবহার করা এবং তার জেরে জনরোষের একের পর এক ঘটনায় আতঙ্কিত হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। বুধবার কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে চিঠি লিখে সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। তাদের প্রতিশ্রুতি, ভবিষ্যতে কেউ যাতে ভুয়ো খবর না ছড়়াতে পারে, সেই রাশ টানতে উদ্যোগী হচ্ছে তারা।
হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও প্ররোচনামূলক’ মেসেজের ফলে গণহিংসার ঘটনা ঘটেছে অসম, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে। মন্ত্রকের মতে, হোয়াটসঅ্যাপ দায় এড়াতে পারে না। জবাবি চিঠিতে সংস্থা বলেছে, ‘‘গণহিংসার ঘটনাগুলি সরকারের মতো আমাদেরও আতঙ্কিত করে তুলেছে।’’ অবাধ ও ভুয়ো মেসেজ রুখতে হোয়াটসঅ্যাপকে পদক্ষেপ করতে বলেছিল কেন্দ্র। সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে ভুয়ো খবর আটকাতে শীঘ্রই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও মেসেজ প্রেরকের নিজের লেখা নাকি ফরওয়ার্ড করা, প্রাপকের কাছে তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সংস্থার দাবি, এর ফলে মেসেজটিই অন্যকে পাঠানোর আগে প্রাপক দু’বার ভাববেন। খতিয়ে দেখবেন, যা তিনি অন্যকে পাঠাতে চলেছেন, তা তার নিজের পরিচিত কারও কথা, নাকি সম্ভাব্য গুজবের অংশ। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, গত সপ্তাহেই তারা গ্রুপে কারা মেসেজ পাঠাতে পারবেন, তা ঠিক করার ক্ষমতা অ্যাডমিনদের দেয়। এর ফলে ভুয়ো খবর ছড়ানোর সম্ভাবনা কমবে বলে দাবি তাদের।
ভারতে ভুয়ো খবর সম্পর্কে জানতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। তারা যোগাযোগ রাখতে চাইছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে জুড়ে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য, তাদের প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জুড়ে থাকা তথ্য যাচাই সংস্থা ‘বুম লাইভ’ ভারতে সাম্প্রতিক হিংসার পিছনে থাকা ভুয়ো খবর নিয়ে কিছু তথ্যও সামনে এনেছে। সংস্থা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ২৫ শতাংশ গ্রুপে নেই। আর যে গ্রুপগুলি রয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে ১০ জনের কম লোক রয়েছেন। ১০টি মধ্যে ৯টিই ব্যক্তিগত মেসেজ।