প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। —ফাইল চিত্র।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতেই রামলালার বিগ্রহে হবে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’। উদ্বোধনের আগের রাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর চিঠির জবাব দিতে গিয়ে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’কে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লেখেন, ‘‘অযোধ্যা ধামে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উৎসবে শুভকামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।’’
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আগে সন্তদের উপদেশ মেনে প্রধানমন্ত্রী ১১ দিন ধরে যে ‘ব্রতপালন’ করছেন, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন। রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ‘‘আপনি ১১ দিন ধরে যা ব্রতপালন করছেন, তা শুধু পবিত্র আচারই নয়, প্রভু শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করাও।’’ চিঠিতে মহাত্মা গান্ধীর কথাও উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি। লিখেছেন, ‘‘গান্ধীজিও ভগবান রামের বড় ভক্ত ছিলেন।’’ অযোধ্যার ‘মহোৎসব’কে ‘ভারতের চিরন্তন আত্মার বহিঃপ্রকাশ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। রাতেই চিঠির জবাবে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মোদী।
সোমবার রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিটে। তার আগে সাড়ে ১০টার মধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের পর অযোধ্যায় একটি জনসভাও করবেন তিনি। সেখান থেকে তাঁর যাওয়ার কথা অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায়।
রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় সোমবার অন্তত ৮০০০ মানুষের সমাগম হতে চলেছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাজনীতি থেকে শুরু করে বলিউড, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিল্পবাণিজ্য, বিভিন্ন জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ইতিমধ্যে অনেকে পৌঁছেও গিয়েছেন।