প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
জন্মদিনে দেশের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম দিয়েছেন পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা। কারা উপকৃত হবেন এই প্রকল্পে? ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধান মন্ত্রী বলেছেন, দেশের বিশ্বকর্মারা। ছোট বড় ক্ষুদ্র-- বিভিন্ন মাপের নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত কারিগরেরা, তাঁরাই পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা।
১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন। প্রতি বছর এই দিনেই হয় বিশ্বকর্মা পুজো। এ বছর যদিও তারিখ বদলেছে। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে এ বার পুজো সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, রবিবার বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। এমনকি, রবিবার নয়াদিল্লিতে যে যশভূমি কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন তিনি সেখানে পুজো ও করেছেন বিশ্বকর্মার মূর্তিতে। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ঘোষণাও করেছেন সেখানেই।
কারা উপকৃত হবেন?
ভারতের ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এমন সমস্ত কারিগরীর সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের জন্যই বিশ্বকর্মা প্রকল্প।
কত বরাদ্দ?
এই প্রকল্পে কেন্দ্র ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
কী কী সুবিধা?
১. এই প্রকল্পে দেশের বিশ্বকর্মা বা ঐতিহ্যবাহী কারিগরদের বিনামূল্যে কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টালে যুক্ত করা হবে।এই পোর্টাল বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সম্পন্ন।
২. এই বিশ্বকর্মাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা শংসাপত্র দিয়ে পরিচিতি দেওয়া হবে। দেওযা হবে বিশেষ পরিচয় পত্রও।
৩.নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে দু’রকম প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগও থাকবে তাঁদের। বেসিক এবং অ্যাডভান্সড। প্রশিক্ষণ চলাকালীন কারিগরদের ৫০০টাকা করে দেওয়া হবে
৪. আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকার ইনসেন্টিভস দেওয়া হবে।
৫. এ ছাড়া ৩ লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে। মাত্র ৫ শতাংশ সুদের বিনিময়ে। প্রথম দফায় ১ লক্ষ দেওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে একই সুদের হারে।
কারা পাবেন এই সুবিধা?
দেশের ১৮টি ক্ষেত্রের কারিগরেরা এই সুযোগ পাবেন। রবিবার নিজের জন্মদিনে এই ১৮টি ক্ষেত্রের কারিগরির ছবি দেওয়া ডাক টিকিটও প্রকাশ করেছেন মোদী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ মিস্ত্রি, ছুতোর মিস্ত্রি, কামার, স্বর্ণকার, মৃৎশিল্পী, ভাস্কর, অস্ত্র কারিগর, নৌকার কারিগর, হাতুড়ি-ছেনি-রেঞ্জের মত ছোট খাটো সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক, তালাচাবির কারিগর, জুতো তৈরি বা জুতো সারাইয়ের কারিগর, ঝাঁটা - ঝুড়ি - মাদুর - পাপস বোনার শিল্পী, ঐতিহ্যবাহী পুতুল এবং খেলনার কারিগর, ধোপা, নাপিত, দর্জি, মাছের জাল তৈরির কারিগর, মালা তৈরির শিল্পী, পাথর কাটার কারিগরেরা।