রীতেশকে এই ভাবেই মেরেছেন ক্লাস টিচার। ছবি: এএনআই।
‘তারে জমিন পর’ এর ঈশানকে বোধ হয় সকলেরই মনে আছে। ক্লাসে বসে পড়াশোনা নয়, সারা দিন আঁকিবুকিতে মশগুল থাকত যে ঈশান। এমনই এক ঈশানের খোঁজ মিলল লখনউয়ের উত্রেথিয়া জেলার সেন্ট জন ভিয়ানে হাই স্কুলে।
ক্সাস থ্রি-র রোল কলের সময় শিক্ষিকা তাঁর নাম ডেকেই চলেছেন। এ দিকে ফার্স্ট বেঞ্চে বসে থাকা রীতেশ তখন আঁকতে ব্যস্ত। রীতেশ উঠে না দাঁড়ানোয় রেগে আগুন শিক্ষিকা। ছোট্ট রীতেশকে ডেকে সপাটে চড় কষালেন। দু-একটা নয়, এক্কেবারে গুনে গুনে ৪০টা। শুধু তাই নয়, রীতেশের জামার কলার ধরে টানা, এমনকী চুলের মুঠি ধরে ব্ল্যাক বোর্ডে মাথা অবধি ঠুকে দেন ওই শিক্ষিকা। রীতেশের মা-বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালে তখনই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করেন প্রধান শিক্ষক। তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে শিক্ষিকার এমন মারধরের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
আরও পড়ুন: শৌচালয়ে যাওয়া চলবে না, মারধর খুদে ছাত্রীকে
ঘটনাটি দিন দুয়েক আগের। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর মা বাবার সঙ্গে একটু অদ্ভুত রকমের ব্যবহারই করছিল ছেলেটি। তৎক্ষণাৎ মা-বাবার নজরে আসে, ছেলের গাল যে এক্কেবারে লাল হয়ে গিয়েছে। আর তখনই তাঁরা যোগাযোগ করেন ছেলের সহপাঠীদের সঙ্গে। ওর বন্ধুরা তখন জানায়, ক্লাস টিচার ওকে ৪০ বার থাপ্পর মেরেছেন।
রীতেশের বাবা, মা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করেন। আর তাতেই দেখা যায় কী ভাবে একটা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের জামার কলার ধরে টেনে হিঁচরে অমানবিক অত্যাচার করেই চলেছেন শিক্ষিকা রেতিকা ভি জন।
আরও পড়ুন: ‘ব্লু হোয়েল’ অ্যাডমিন এই কিশোরী রাশিয়ায় গ্রেফতার
অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে প্রধান শিক্ষক ডেকে পাঠালে তিনি অবশ্য ক্ষমা চান ছাত্রের মা-বাবার কাছে। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তখনই তাঁকে বরখাস্ত করেন প্রধান শিক্ষক। রেতিকার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন রীতেশের পরিবার।