মিডডে মিলে বিষ মেশানোর অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
তিনি বেকার। তাই পাত্তা পাচ্ছিলেন না পরিবার, আত্মীয়স্বজন এমনকি বন্ধুদের কাছেও। আর তাতেই ক্ষোভ বাড়ছিল তাঁর মনে। সকলের নজর কাড়তে তাই এমন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলেন যে তার জন্য শেষমেশ জেলে যেতে হল যুবককে।
স্কুলের মিডডে মিলে বিষ মেশানোর অভিযোগ উঠল তেলঙ্গানার এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নজরে পড়ে যাওয়ায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পওয়া গিয়েছে। না হলে বহু পড়ুয়ার প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। ঘটনাটি তেলঙ্গানার আদিলাবাদের ধর্মপুরী গ্রামের। অভিযুক্তের নাম সোয়ম কিস্তু। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, কোনও কাজ করেন না সোয়ম। তাঁকে কাজও করতে দেওয়া হয় না। পরিবারের কারও কাছ থেকে কোনও রকম সহযোগিতাও পান না। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এমন কিছু একটা কাজ করবেন যাতে পরিবারের লোকজন তাঁর ‘কদর’ করেন। তাই সেই ‘কদর’ পেতে তিনি কীটনাশক কিনে নিয়ে আসেন। তার পর গ্রামেরই একটি প্রাথমিক স্কুলে যান। সকলের নজর এড়িয়ে স্কুলের মিডডে মিল তৈরির জন্য রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন। তার পর বাসপত্র, খাবারে কীটনাশক ছড়িয়ে দেন। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান।
প্রধানশিক্ষক জানান, স্কুলের রান্নাঘরের দরজা খোলা দেখেই সন্দেহ হয়। রান্নাঘধরে ঢুকতেই ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যায়। বোঝাই যাচ্ছিল কোনও রাসায়নিক ছড়ানো হয়েছে। রান্নাঘরে ঢুকতেই দেখা যায় বাসনে কীটনাশক ছড়ানো। সঙ্গে সঙ্গে সব বাসন পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় সবক’টিতেই রাসায়নিক ছড়ানো হয়েছে। খাবার থেকেও রাসানিকের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। তার পরই খাবার ফেলে দেওয়া হয়। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় এক যুবক রান্নাঘরে ঢুকছেন। হাতে কীটনাশকের বোতল। তার পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। স্কুল চত্বর থেকে কীটনাশকের বোতল উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।