ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর স্ক্রিন শট । আইএফএস অফিসার সুশান্ত নন্দের টুইটার থেকে নেওয়া।
ওরাংওটাং বললে প্রথমে কী মনে হয় আপনার ? সুকুমার রায়ের কবিতার হলদে সবুজ ওরাংওটাং, ইট-পাটকেল চিৎপটাং? ‘সতীর্থ’দের ভয় দেখাতে গিয়ে এমনই এক ওরাংওটাংয়ের চিৎপটাং থুড়ি, উল্টে পড়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি । সেই ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছেন ফরেস্ট অফিসার সুশান্ত নন্দ ।
মানুষের সঙ্গে প্রচুর মিল রয়েছে ওরাংওটাংয়ের, এমনটাই বলছে জিনতত্ত্ব । ছোটবেলায় কাপড় মাথায় দিয়ে ভুত সেজে 'হাঁউমাঁউখাঁউ' শব্দ করে ভয় দেখায়নি কাউকে এমন মানুষ বোধ হয় খুব কমই রয়েছে । এ বার একটি ওরাংওটাংকে দেখা গেল একটি পরিত্যক্ত বস্তা মুড়ি দিয়ে তার ‘বন্ধু’দের সঙ্গে একই ভাবে মজা করতে ।
বস্তা মাথায় দিয়ে কী করল ওরাংওটাংটি ?
বস্তা মাথায় মুড়ি দিয়ে নিজের চেহারা লুকিয়ে কখনও সে বন্ধুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । কখনও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে, কখনও বা পা ধরে টানছে । অপর ওরাংওটাংটি এগিয়ে আসতেই আবার নট নড়নচড়ন। বন্ধুটি প্রথমে ভড়কে গেলেও পরমুহূর্তেই পাল্টা ধাক্কা দিচ্ছে বস্তায় ঢাকা ওরাংওটাংটিকে। নড়েচড়ে ওঠা বস্তাটা আসলে যে তার সঙ্গী, একথা বুঝতে পেরে আবার তাকে ধরেই গড়াগড়ি খাচ্ছে।
আরও পড়ুন : লড়াই করছে দুই খুদে ভাল্লুক! ভিডিয়ো দেখে মজায় মাতছেন নেটাগরিকরা
এটি আসলে ২০১৭ সালে একটি অ-সরকারি সংস্থার ভিডিয়ো। সেটি ১ জুলাইয়ে পোস্ট করেন ফরেস্ট অফিসার সুশান্ত নন্দ । এই ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ২৮ হাজার টুইটার ব্যবহারকারী দেখে ফেলেছেন । ২৫০০-র বেশি লাইক পড়েছে ভিডিয়োটিতে । ভিডিয়োটি পোস্ট করে নন্দ লিখেছেন, ‘‘আমাদের ভাইদের মজা’’ । উল্লেখ করেছেন মানুষের সঙ্গে ওরাংওটাংয়ের ২৮টি নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা। যেখানে শিম্পাঞ্জির সঙ্গে দুটি এবং গোরিলার সঙ্গে সাতটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মিল রয়েছে মানুষের।