অভিনব স্কুল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্রায় ছ’মাসের উপর গোটা দেশের মতো ঝাড়খণ্ডেও বন্ধ স্কুল। চলছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে পড়ুয়াদের কাছে আর স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কোথায়! তা বলে কি লেখাপড়া বন্ধ থাকবে! এই ভাবনা থেকেই করোনা পরিস্থিতির নিয়ম মেনে গ্রামে স্কুল খুলেছেন মাস্টারমশাই স্বপন পত্রলেখ।
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার সদর শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জারমুণ্ডি ব্লকে আদিবাসী প্রধান গ্রাম ডুমারথার। সেখানেই একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন পত্রলেখ। তাঁর স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ২৯০। কিন্তু করোনার জেরে তারা সবাই ঘরে, স্কুল বন্ধ। এই অবস্থায় স্কুল খুলে ফেলেছেন সেখানকার শিক্ষকরা। না স্কুল বিল্ডিংয়ের তালা খুলে সরকারি নির্দেশ অমান্য করেননি তাঁরা। কিন্তু এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলি যাতে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয় তার ব্যবস্থা করেছেন।
স্কুলের শিক্ষকরা অভিনব এক ব্যবস্থা করেছেন পড়ুয়াদের জন্য। যার ফলে সামাজিক দূরত্ব মেনেই স্কুল চলছে। গ্রামের পাশাপাশি কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে তৈরি হয়েছে প্রায় ৫০টি ব্ল্যাকবোর্ড। আসলে দেওয়ালেই কালো রং করে এই ব্ল্যাকবোর্ডগুলি তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে দূরত্ব রেখে এক এক জন পডু়য়াকে বসানো হয়। এবার তাঁদের মাঝে দাঁড়িয়ে ক্লাস নিচ্ছেন এক এক জন করে শিক্ষক। স্কুলে চার জন শিক্ষক এক এক করে পর্যায় ক্রমে ক্লাস নেন। আর ৫০ জনের ব্যাচ করে পর্যায়ক্রমে ২৯০ জন স্কুল পড়ুয়ারই ক্লাস চলছে।
আরও পড়ুন: সবার জন্য ‘নেটফ্লিক্স’ হলেও পাসওয়ার্ডটা বড্ড বড়, মাথা ঘুরে যাবে
আরও পড়ুন: মহিষের সিং বনাম সিংহ, অসমযুদ্ধের অবিশ্বাস্য ভিডিয়ো
প্রধান শিক্ষক স্বপন পত্রলেখ সহ বাকি শিক্ষকদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসীরাও। তাঁরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দেখুন অভিনব সেই স্কুলের ছবি–