মণিপুরের নাগা এলাকাতেও ছড়াল অশান্তি। ছবি: সংগৃহীত।
মণিপুরের নাগা এলাকাতেও ছড়াল অশান্তি। উখরুলে রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রী খাসিম ভাসুমের গ্রামের বাড়িতে গত কাল রাতে ওই বিস্ফোরণ হয়। অবশ্য মন্ত্রী তখন বাড়িতে ছিলেন না। কেউ হতাহত হননি।
এ দিকে সিংজামেইতে এক মহিলার মৃত শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। যৌথ মঞ্চ রবিবার ২৪ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে। সম্প্রতি ইম্ফলে জনবিক্ষোভের সময়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৩৪ বছরের নাওরেম সঞ্জিতা। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সঞ্জিতা দেড় কিলোগ্রাম ওজনের মৃত শিশু প্রসব করেন। গত কাল ওই মৃত শিশুকে নিয়ে জনতা থানা ঘেরাও করে। থানা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। বিকেলে পুলিশকে ফের কাঁদানে গ্যাস, মক বোমা ছুড়তে হয়। রাত ৮টা নাগাদ জনতা রাস্তা অবরোধ করে। হাসপাতাল জানিয়েছে সঞ্জিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল ও প্রশাসনের কথা মানতে নারাজ যৌথ মঞ্চ রবিবার বন্ধ ডাকে। তার জেরে প্রশাসন রবিবার কার্ফু শিথিল করার সময় ভোর ৫টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত করে দেয়। জারি রয়েছে ১৬৩ ধারা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় রাজ্য সরকার পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল, থৌবাল, বিষ্ণুপুর ও কাকচিং জেলায় ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার দিল্লির যন্তরমন্তরে মেইতেই কো-অর্ডিনেটিং কমিটি, মেইতেই যৌথ মঞ্চ কোকোমি, গ্লোবাল মণিপুর ফেডারেশন এক বিক্ষোভের আয়োজন করে। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে মণিপুরে আসতে হবে। মণিপুর পুলিশের ডিআইজি এন হেরোজিৎ সিংহ জনতাকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক বার স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছে। খাবেইসইতে জখম হয়েছেন পূর্ব ইম্ফল কমান্ডো ব্যাটালিয়নের ওসি ও এক পুলিশকর্মী। হেরোজিৎ সতর্ক করেন, বিক্ষোভ দেখানোর আড়ালে এ ভাবে পুলিশের উপরে গুলি চালানো হলে পুলিশও কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।