বিজয় মাল্যকে।
আইনি জটিলতা না কাটলে ভারতে ফেরানো যাবে না বিজয় মাল্যকে। নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাইকমিশনের এক মুখপাত্র এক টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ‘‘ব্রিটেনের হাইকোর্ট প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে মাল্যের আর্জি খারিজ করেছে এবং সুপ্রিম কোর্টও তিনি আর্জি জানানোর অনুমতি পাননি ঠিকই। কিন্তু তার পরেও কিছু আইনি দিক রয়ে গিয়েছে। প্রত্যর্পণের আগে সেই বিষয়ের সমাধান করতে হবে।’’ আইনি দিকটি ঠিক কী, তা জানাতে চাননি হাইকমিশনের মুখপাত্র। শুধু বলেছেন, ‘‘বিষয়টি গোপন, বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়। এটাও বলা সম্ভব নয়, এর সমাধানের জন্য কত সময় লাগবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব এগোনোর চেষ্টা করছি আমরা।’’
২০১৮ সালেই আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত কিংফিশার কর্তার প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল ব্রিটেনের নিম্ন আদালত। পরে হাইকোর্টও একই রায় দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানোর সুযোগ পাননি মাল্য। ফলে তাঁকে ভারতে ফেরানোর সম্ভাবনা যখন সামনে আসছিল, তখনই নতুন করে জটিলতা। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ২৮ দিনের মধ্যে ফেরাতে হবে। তবে তিনি যদি শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চান, সে ক্ষেত্রে যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই আর্জির ফয়সালা হচ্ছে, ততক্ষণ প্রত্যর্পণ সম্ভব নয়। সিবিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, মাল্য এই ধরনের কোনও আর্জি জানিয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। মাল্যের আইনজীবী আনন্দ দুবেকে ওই টেলিভিশনের তরফে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি কোনও জবাব দেননি।
অনেকেই মনে করছেন, মাল্যকে ফেরানোর বিষয়টি এখন ব্রিটেনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপরেই ঝুলে রইল। ভারতে রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার সে দেশের উপর কতটা চাপসৃষ্টি করতে পারে, সেটাও দেখার।