বিজয় মাল্যকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ সিবিআইয়ের। ফাইল চিত্র।
চার্বাক দর্শনের নীতি মেনে চরম দুঃসময়েও ঋণ করে ঘি খেয়ে গিয়েছেন শিল্পপতি বিজয় মাল্য! অন্তত এমনই দাবি করেছে সিবিআই। মাল্যের সাধের কিংফিশার এয়ারলাইন্স যখন ঋণের জালে জর্জরিত, সংস্থার একের পর এক কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে সময়েও ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সে ৩৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন এই শিল্পপতি। মাল্যর বিরুদ্ধে চলা একটি তদন্তে মুম্বইয়ের একটি আদালতে সম্প্রতি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তাঁর সংস্থা যখন চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, তখনই ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সে এই সম্পত্তি কেনেন মাল্য।
মাল্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৯০০ কোটি টাকার ঋণ না মিটিয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ওই ব্যাঙ্কের তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের নামও অতিরিক্ত চার্জশিটে রেখেছেন তদন্তকারীরা। বুদ্ধদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, ২০০৯ সালে তিনি পদ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাল্যকে অতিরিক্ত ১৫০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। নিয়ম মোতাবেক ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পাওয়ার কথা ছিল না মাল্যর। কিন্তু ওই অতিরিক্ত ১৫০ কোটি টাকার জন্যই মাল্যর ঋণের পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকা হয়েছিল।
মাল্যর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও তদন্ত করছে। ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালত মাল্যকে ‘পলায়নকারী’ বলে ঘোষণা করে। আদালত কাউকে ‘পলায়নকারী’ বলে ঘোষণা করলে তদন্তকারী সংস্থা সেই ব্যক্তির যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।