National News

হাতিকে ফাঁকি দিতে গাছে বাস ১৩ বছর

বিজয় জানান, মানুষের সংস্পর্শে আসতে পছন্দ করেনন না তেমন।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:১৩
Share:

গাছবাসী বিজয় ব্রহ্মের (ইনসেটে) আস্তানা। —নিজস্ব চিত্র।

ভুটানের জঙ্গল থেকে নেমে আসা হাতির পাল গ্রাম তছনছ করত। হাতির ভয়ে বারবার পালিয়ে গাছে উঠতে হত। চোখের সামনে দেখতে হত, হাতে গড়া ঘর কী ভাবে ভেঙেচুরে তছনছ করছে হাতির পাল। এই ভাবে অনেক বছর কাটানোর পরে অসমের বাক্সা জেলার মুসলপুরের বাসিন্দা বিজয় ব্রহ্মের বিতৃষ্ণা ধরে যায় মাটির জীবনে। তাই গাছের উপরেই থাকা শুরু করেন তিনি। গত ১৩ বছর ধরে গাছের উপরে বাস করা বিজয়কে গ্রামের মানুষ এখন ‘বনমানুষ’ বলেই ডাকে।

Advertisement

বিজয় জানান, মানুষের সংস্পর্শে আসতে পছন্দ করেনন না তেমন। ছোটবেলায় অনাথ হওয়ার পরে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। চৌকি বনাঞ্চলের কাছে তাঁর বাড়ি ছিল। একলা মানুষ, তাই ছোট্ট ঘরই ছিল তাঁর সম্বল। কিন্তু সেটাও প্রায়ই ভেঙে দিত হাতিরা। বিজয় বলেন, “বারবার এই ঘটনার পরে ভাবলাম রাত নামলে যখন হাতির ভয়ে গাছেই উঠতে হয়, তখন খামোকা মাটিতে ঘর গড়ে কী লাভ? তাই কাঠ, তক্তা জোগাড় করে বনে গাছের উপরেই ছোট্ট ঘর তৈরি করে ফেলি।”

এর পর অন্যের বাড়ির কাজও ছেড়ে দেন। জঙ্গলে যা পাওয়া যায় তাই খেয়ে থাকতেন তিনি। বছয় ছয়েক চৌকি বনাঞ্চলের ভিতরে থাকার পরে পাগলাদিয়া নদীর পারে খৈরানি পথারের কাছে নতুন একটি গাছে বাসা বেঁধেছেন বিজয়। সেখানেও প্রায় সাত বছর হতে চলল। বললেন, বনের আলু, কচু, শাক, নদীর মাছ, শামুক, কাঁকড়া— যা পান তা খেয়েই দিব্যি দিন কেটে যাচ্ছে। একা মানুষের আর কি চাওয়ার থাকতে পারে?

Advertisement

আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকার বদলে সবুজ গামছা উড়িয়ে ধৃত ৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement