টাইপ করছেন লক্ষ্মী বাই। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
তিনি রাঁধেন, বাড়েন আবার টাইপও করেন। বয়স তাঁর কাছে শুধুই একটা সংখ্যা। দুরন্ত তাঁর টাইপিং স্পিড। শব্দের পর শব্দ টাইপ করে ফেলেন এক লহমায়। দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় টাইপ করতে করতেই। তাও মুখে বিন্দুমাত্র ক্লান্তির ছাপ নেই। গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন হাসিমুখেই।
তিনি, বছর বাহাত্তরের লক্ষ্মী বাই। নিবাস মধ্যপ্রদেশের শেহরে। জেলাশাসক রাঘবেন্দ্র সিংহের অফিসের সামনের ফুটপাতেই তাঁর পাকাপাকি আস্তানা। সেখানে বসেই পুরনো একটি টাইপরাইটারে দিনভর খটাখট টাইপ করে যাচ্ছেন। ছোট্ট একচিলতে জায়গাতেই অগণিত মানুষের ভিড়। টুইটারে লক্ষ্মীবাইয়ের ভিডিয়ো পোস্ট করেন হাতিন্দর সিংহ নামে এক যুবক। মুহূর্তে যা ছেয়ে যায় হোয়াটস্অ্যাপ, ফেসবুক-সহ গোটা নেট দুনিয়ায়।
আসলে মেয়ের চিকিৎসার জন্য বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন লক্ষ্মীবাই। সেই ঋণ শোধ করার জন্যই এই কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধা। জেলাশাসক রাঘবেন্দ্র সিংহ এবং মহকুমা শাসক ভাবনা ভিলাম্বে তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
হারল বৃষ্টি, বুখারির শেষযাত্রায় জনঢল বারামুলায়
অনলাইনে রেলের টিকিট এ বার নতুন সাইটে
টুইটারে ভিডিয়ো দেখে লক্ষ্মীবাইয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অনেকেই। যে তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘লক্ষ্মীবাই আমার কাছে সুপারওম্যানের থেকে কম কিছু নয়। নতুন প্রজন্মের তাঁর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’’