উদ্ধার হওয়ার আগে। ছবি: সংগৃহীত।
তিরিশ ফুট গভীর একটি কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল সাত বছরের চিতাবাঘটি। ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকার পরও বাঁচার কোনও আশা ছিল না। কুয়োর খাড়া দেওয়াল বেয়ে ওপরে উঠে আসা ছিল তার ক্ষমতার বাইরে। নিশ্চিত মৃত্যুই অপেক্ষা করছিল তার জন্য।
যদিও উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বেশি লাফালাফি না করে এক জায়গাতেই বসেছিল চিতাবাঘটি। স্থানীয় লোক জন এর পরই খবর দেন বনবিভাগকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনবিভাগের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস নামের একটি সংগঠনের কর্মীরাও।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ওতুর জেলার যাদবওয়াড়ি গ্রামের। চিতাবাঘটিকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে একটি বিশেষ খাঁচা বানান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। যদিও খাঁচা নামানো হলেও তাতে চিতাবাঘটি উঠবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: আধুনিকীকরণের কাজ শেষ, এখন আরও নিঁখুত ও ভয়ঙ্কর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান!
২.০৮ মিনিটের ভিডিয়োতে অবশ্য দেখা গেল, খাঁচা নামার পর তাতে ঢুকে পড়তে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি চিতাবাঘটি। আসলে সেও বোধহয় বুঝতে পেরেছিল এই খাঁচা তাকে উদ্ধারের জন্যই।
আরও পড়ুন: বামপন্থীদের হারিয়ে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে এল এবিভিপি
ভিডিয়োটি সামনে আসার পরই তা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সব জায়গাতেই হাততালি আর বাহবা কুড়োচ্ছেন বনবিভাগ আর ওয়াইল্ড লাইফ এসওএসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)