(বাঁ দিকে) জাতীয় সড়কে সারে সারে গাড়ি দাঁড়িয়ে। পাথরে পিষে চুরমার গাড়ি (ডান দিকে)। ছবি: টুইটার।
অনবরত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ভেজা রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি। বৃষ্টিতে যানজট তৈরি হওয়ায় কোনও গাড়িই এগোতে পারছে না। পাহাড়ি রাস্তায় এই যানজটের মাঝেই ধেয়ে এল বিপদ। পাহাড়ে ধসের কারণে ভারী পাথর নীচের দিকে গড়িয়ে এল তীব্র গতিতে। দু’টি চারচাকার গাড়ি সেই পাথরের নীচে খেলনার মতো পিষে গেল।
নাগাল্যান্ডে গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ চুমোউকেদিমা জেলায় ২৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। যে পাহাড়ের ধারের রাস্তায় গাড়িগুলি দাঁড়িয়েছিল, তার নাম পাকালা পাহাড়। এই পাহাড়ে প্রায়ই ধস নামে। মঙ্গলবারের ঘটনায় গাড়িতে থাকা দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিন জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাহাড় থেকে কী ভাবে চোখের নিমেষে বিশাল পাথরখণ্ড নেমে এসে পর পর দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি গাড়ি পিষে দিল, তা পিছনের গাড়িতে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পাশাপাশি দু’টি পাথর পাহাড়ের গা বেয়ে প্রচণ্ড গতিতে নীচে নেমে এসেছে। একটি পাথরের আকার অপেক্ষাকৃত ছোট এবং অন্যটি আকারে বিশাল। বড় পাথরটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি কালো রঙের গাড়ির উপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। গাড়িটি মুহূর্তে চুরমার হয়ে যায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটিতেও ওই পাথর ধাক্কা মারে। তাতে পাশের গাড়িটি এক পাশে কাত হয়ে উল্টে যায়। কালো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আর একটি গাড়িতেও ধাক্কা মারে অন্য একটি পাথর। সেই গাড়িও তৎক্ষণাৎ ভেঙেচুরে যায়। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এই দুর্ঘটনায় এক জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্য এক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া, গাড়ির ধ্বংসস্তূপে দীর্ঘ ক্ষণ এক জন আটকে ছিলেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে নাগাল্যান্ড সরকার।