বেপরোয়া গতির কারণে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। পথ নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দেশ জুড়ে প্রচার চালিয়েও দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না কোনও ভাবেই। সরকারি সমস্ত নিয়ম-উদ্যোগকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে অনেক সময়েই বেপরোয়া গাড়ির দাপাদাপি চলে। তেমনই দু’টি বাসের রেষারেষির একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরের ঘটনা।
আরও পড়ুন: সোমেন-লকেটদের সাক্ষাতে নয়া জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
শনিবার কোয়েম্বত্তূর-পোলাচি হাইওয়েতে দু’টি যাত্রিবোঝাই বাসকে পরস্পরের মধ্যে রেষারেষি করতে দেখা যায়। একেই যাত্রি ভর্তি, তার উপর যে ভাবে তারা একে অপরকে গতিতে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তাতে মনে হচ্ছিল যেন কোনও রেসের মাঠে নেমেছে। এক চুল এ দিক ও দিক হলেই বড়সড় দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ঘটত। পিছিয়ে পড়া বাসটি সামনের বাসকে টেক্কা দিতে আসল রাস্তা ছেড়ে পাশের নির্মীয়মান রাস্তায় উঠে পড়ে। সোঁ সোঁ গতিতে ধুলো উড়িয়ে সামনের বাসটিকে ওভারটেক করে। পিছিয়ে পড়াটা যেন অন্যায়, এমন ভাব দেখিয়ে অন্য বাসের চালকও দিলেন অ্যাক্সেলেটরে জোরে পা চাপিয়ে। ডান দিক দিয়ে নয়, এই বাসচালক আবার বাঁ দিক দিয়ে ওভারটেক করার চেষ্টা করলেন! যে গতিতে ছুটছিল বাস দুটো, তাতে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। গোটা ঘটনাটি ভিডিও করেছেন এক মোটরবাইক আরোহী। ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার থেকেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বাসের ভিতরে থাকা মানুষগুলোর কথা এক বার ভাবুন তো! ওই মুহূর্তে কী মনের অবস্থা হয়েছিল তাঁদের। যেন মৃত্যুকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যদিও এই রোষারেষি নিয়ে কোনও তাপ-উত্তাপ ছিল না চালকদের মধ্যে। ভিডিওটি দেখার পর পোলাচির সাব-কালেক্টর গায়ত্রী কৃষ্ণাণ জানান, বাস মালিকদের ডেকে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ওই দুই বাসচালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিশেজ্ঞরা বলছেন, ৪৪ কিলোমিটার পথ তাড়াতাড়ি পৌঁছতে, বেশি মাত্রায় যাত্রী তুলতে কোনও পরোয়া না করেই এমন ঝুঁকি নেন বাসচালকরা। কৃষ্ণাণ জানান, হাইওয়েতে যাতে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো না হয়, সে জন্য সড়ক পরিবহণ পর্যবেক্ষক মোতায়েন করা হবে।
দেখুন ভিডিও