পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট বন্ধ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টে আজ তেমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
গত বছর দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, “এই রকম চার কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে। আমরা একটা বন্ধ করব, আর একটা তৈরি করা হবে।” শিশুদের দিয়ে অশ্লীল ছবি তৈরি (চাইল্ড পর্নোগ্রাফি) এবং অন্য পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
সেই সূত্রে কেন্দ্র আজ জানিয়েছে, এই ধরনের পর্নোগ্রাফি সাইটগুলি যে সব সার্ভারের মাধ্যমে এ দেশে ঢোকে, সেগুলির বেশির ভাগই বিদেশে রয়েছে। তাই সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির রমরমা ঠেকাতে আইন-প্রযুক্তি-প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা কেন্দ্রের তৈরি কমিটির কাছে পরবর্তী শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি জানবেন।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া ওই জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছিল, পর্নোগ্রাফি দেখে যেমন অনেক সময় যৌন ইচ্ছা প্রবল হয়, তেমনই নিয়ন্ত্রণ করার বা ক্ষমতা প্রদর্শনের ইচ্ছাও জাগে। যার জেরে ধর্ষণের শিকার হতে হয় মহিলাদের। এই সূত্রে ২০১২ সালের নির্ভয়া-কাণ্ডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। বলা হয়েছে, চলন্ত বাসে মেয়েটির উপরে নির্মম অত্যাচারের আগে দোষীরা মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখেছিল। তাই ধর্ষণের মতো ঘটনায় পর্নোগ্রাফির ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়।