উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। ছবি পিটিআই।
রাজ্যসভা কক্ষের মধ্যে ফোনে ভিডিয়ো তুলতে বারণ করে সাংসদদের হুঁশিয়ারি দিলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আজ তিনি জানান, অনুমোদন ছাড়া এ ভাবে ভিডিয়ো তোলা ও সমাজমাধ্যমে তা পোস্ট করা হলে তাকে সংসদীয় অধিকার ভঙ্গ এবং সভার অবমাননা হিসেবে ধরা হতে পারে।
গত কাল কৃষি আইন নিয়ে সংসদে হট্টগোল চলাকালীন বিরোধী দলের কিছু সাংসদকে দেখা যায় মোবাইলে ভিডিয়ো তুলতে। সেই ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। আজ অধিবেশন শুরু হলে চেয়ারম্যান জানান, সংসদীয় আইন অনুযায়ী রাজ্যসভার ভিতরে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। তিনি বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও সদস্য সভায় বসে এখানকার কাজকর্ম মোবাইলে রেকর্ড করছেন। এমন আচরণ সংসদীয় শিষ্টাচারের পরিপন্থী। সদস্যদের কাছে তা কাঙ্ক্ষিতও নয়। সাংসসদের উচিত এমন অন্যায় থেকে বিরত থাকা।’’ শুধু সাংসদেরা নন, সংবাদমাধ্যমকেও এই ভিডিয়োগুলি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন চেয়ারম্যান। ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি সংসদের নিয়ম নয়। ভিডিয়োগুলি অনুমোদিত নয়। সেগুলি ব্যবহার করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
গত শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি বিল নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়েছিল সংসদে। ওই অধিবেশনেও সভাকক্ষে নিজেরা ভিডিয়ো তুলে পরে তা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন সাংসদদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যসভার অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করে যে সরকারি চ্যানেল, সেই ‘রাজ্যসভা টিভি’-তে বিরোধী অসন্তোষের পুরো ছবিটা দেখানো হচ্ছে না। বিশেষত বিরোধীদের বিক্ষোভে রাজ্যসভা থমকে যাওয়া ও পরে মার্শালদের দিয়ে চেয়ারম্যানের টেবিল ঘিরে ফের অধিবেশন চালুর সময়ে সরকারি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময়ে কোনও কোনও সাংসদ মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সংসদের সেন্ট্রাল হলে স্লোগান তুলেছিলেন আম আদমি পার্টির দুই সাংসদ সঞ্জয় সিংহ এবং ভগবন্ত মান। স্লোগান দেওয়ার সেই ভিডিয়ো নিজেদের মোবাইলেই তুলেছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে সেন্ট্রাল হলে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বেঙ্কাইয়া অবশ্য কারও নাম না-করেই বলেন, ‘‘সাংসদেরা যদি নিয়ম মেনে চলেন, তা হলেই সব ঠিক থাকবে। তাঁদের তাই অনুরোধ করছি, বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকুন। আশা করব, সবাই নিয়ম-কানুন মানবেন।’’