National news

মেরেছিলেন বীরাপ্পনকে, এ বার জঙ্গিদমনে কাশ্মীরে যাচ্ছেন বিজয়

জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলা হবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রায় একই কথা শোনা যাচ্ছে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের গলায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ১৬:১৪
Share:

রাজ্যপালের উপদেষ্টা পদে বিজয় কুমার।

জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যে গতি আসতে চলেছে, তার প্রমাণ মিলে গেল। নিজের উপদেষ্টা হিসেবে রাজ্যপাল এনএন ভোরা এমন একজনকে শ্রীনগরে আনছেন, যিনি চন্দন দস্যু হত্যার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন। দান্তেওয়াড়ায় নকশাল বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কে বিজয় কুমার।

Advertisement

গত মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরে জারি হয়েছে রাজ্যপালের শাসন। এর মধ্যেই ১৯৭৫ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিজয় কুমারের নিয়োগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তায় ফাঁকফোকর ভরাট করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৈঠক করেছেন রাজ্যাপালএন এন ভোরা। রাজ্যে মুখ্যসচিব পদে তিনি বদল এনেছেন। সঙ্গে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে আনছেন বছর ৬৫-র বিজয় কুমারকে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁদের নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে।

কিন্তু এর পর? জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলা হবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রায় একই কথা শোনা যাচ্ছে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের গলায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘স্বামী আমার কাছে রাম’, বলছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী

আরও পড়ুন: নাম,ধর্ম বদলাতে বলে হেনস্থা দম্পতিকে, হস্তক্ষেপ সুষমার

মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীরের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানকে সফল করতে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার বিজয় কুমারের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করা হবে। ২০০৪ সালে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ-এর অভিযানে মারা গিয়েছিল চন্দন দস্যু বীরাপ্পন। সেই দলের প্রধান ছিলেন বিজয় কুমার। ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদী হামলায় ৭৫ জন নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুর পর তাঁকে সিআরপিএফ-এর ডিরেক্টর পদে আনা হয়। একটা সময় বিএসএফ-এর ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে তিনি দীর্ঘ সময় কাশ্মীরে কাটিয়েছেন। আগামী ২৮ জুন থেকে কাশ্মীরে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। জঙ্গি হামলার হাত থেকে অমরনাথ যাত্রীদের রক্ষা করাটাই এখন কে বিজয় কুমার-সহ সমস্ত নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement