তুতিকোরিনে স্টারলাইট কপার কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বেদান্ত রিসোর্সেস। তবে যত ক্ষণ না পর্যন্ত উত্তেজনা কমছে, তত ক্ষণ অপেক্ষা করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
স্টারলাইট কপার কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ এনে আশপাশের ১৬টি গ্রামের বাসিন্দারা আন্দোলনে নেমেছিলেন। বিক্ষোভের ১০০ দিনের মাথায় আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশ গুলি চালালে পর পর দু’দিনে ১৩ জন প্রাণ দিয়েছেন। জনরোষের মুখে স্টারলাইট কপার পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। দ্বিতীয় কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমিও ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই চূড়ান্ত ধাক্কার পরে লন্ডনের সংস্থা বেদান্ত মাদ্রাজ হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছে। সূত্রটির দাবি, ‘‘বেদান্ত ভারতের আইন ভাঙেনি। তামিলনাড়ু সরকার কারখানার বিরুদ্ধে একটি প্রমাণও পেশ করতে পারেনি। ফলে আদালতে মামলা করার ক্ষেত্র তৈরি রয়েছে।’’
তামিলনাড়ুর মন্ত্রী ডি জয়কুমার বলেন, ‘‘তুতিকোরিনের মানুষ দূষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আদালতে নিজের অবস্থান তুলে ধরবে রাজ্য সরকার।’’
এরই মধ্যে সুপারস্টার রজনীকান্ত আজ দাবি করেছেন, স্টারলাইট-বিরোধী আন্দোলনে সমাজবিরোধীরা ঢুকে পড়েছিল। গত সপ্তাহে তারাই পুলিশকে আক্রমণ করায় পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। পুলিশের উপর আক্রমণ তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলেই জানান রজনীকান্ত। তাঁর মতে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এত বেশি বিক্ষোভ দেখানো হলে তামিলনাড়ু কবরস্থানে পরিণত হবে।