Vande Bharat Express

দু’মাসের মধ্যেই নবরূপে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! এ বার স্লিপার সংস্করণ, জানালেন রেলমন্ত্রী

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার সংস্করণ আগামী অগস্টের মধ্যে আনতে চলেছে রেল। তার ছ’মাসের মধ্যে ১৬ কামরার স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্রেনটি যাত্রী পরিষেবার জন্যও তৈরি হয়ে ‌যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ০১:৪৬
Share:

নতুন ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের একাধিক বৈশিষ্ট্য থাকবে। ছবি: সমাজমাধ্যম।

রাজধানী এবং দুরন্তের মতো প্রথম সারির ট্রেনের বিকল্প হিসাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার সংস্করণ আগামী অগস্টের মধ্যে আনতে চলেছে রেল। তার ছ’মাসের মধ্যে ১৬ কামরার স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্রেনটি যাত্রী পরিষেবার জন্যও তৈরি হয়ে ‌যাবে। কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেক যারা তৈরি করেছে, বেঙ্গালুরুর সেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল) সেটি বানাচ্ছে।

Advertisement

গত অক্টোবর মাসে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তাঁর সমাজমাধ্যমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার সংস্করণের কিছু ছবি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আগামী বছরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার সংস্করণের কাজ সম্পন্ন হবে।” শনিবার অশ্বিনী বলেন, “বন্দে ভারত স্লিপার সংস্করণের কাজ প্রায় সমাপ্ত। শেষ পর্যায়ের কাজ পুরোদমে চলছে এবং প্রথম ট্রেনটি আগামী দু’মাসের মধ্যে চালু হবে। প্রযুক্তিগত সব কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বহু প্রতীক্ষিত বন্দে ভারতের স্লিপার সংস্করণ যাত্রীদের সহজ গতিশীলতা প্রদান করবে এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন সুবিধা দেবে।”

চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বিইএমএল প্রথম পর্বে বন্দে ভারতের জন্য বাতানুকূল স্লিপার তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিএমডি শান্তনু রায়। নতুন ট্রেনের মোটর এবং ট্রেন চালানোর গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে হায়দরাবাদের মেধা সংস্থা। নতুন ট্রেনে এসি টু-টিয়ার এবং থ্রি-টিয়ারে উপরের বার্থে ওঠার ক্ষেত্রে বয়স্ক যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমনকি কামরার ভিতরে বিভিন্ন উপকরণ থেকে যাত্রীদের যাতে আঘাত না লাগে, সে দিকেও বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও আধুনিক রিডিং লাইট, একাধিক চার্জিং পয়েন্ট, বাতানুকূলের ব্যবস্থা, উন্নত শৌচাগার-সহ একাধিক সুবিধা ওই ট্রেনে থাকবে। নতুন ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের একাধিক বৈশিষ্ট্য ছাড়াও দ্রুত গতি-বাড়ানো এবং কমানোর প্রযুক্তি থাকবে। এর ফলে ট্রেনের গড় গতিবেগ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। গুরুত্বপূর্ণ পথে যাতায়াতের সময়ও অনেকটা কমে আসবে। অন্দরসজ্জা, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং ট্রেন চালানোর প্রযুক্তির দিক থেকে ১৬ কোচের ওই ট্রেন অভিনব হবে এবং সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশাবাদী রেল।

Advertisement

আগামী অগস্ট মাসের মধ্যে প্রথম ট্রেনের নমুনা রেক (প্রোটোটাইপ) মহড়া এবং যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রেল। কেন্দ্র ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দে ভারতের জন্য ৮০০টি স্লিপার এক্সপ্রেস তৈরি করতে চায় বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement