Uttarakhand

‘রেলের জমিতে’ উচ্ছেদ আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে

উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি রেলস্টেশনের কাছে বনভুলপুরা এলাকার এই জমিতে কয়েক দশক ধরে রয়েছে পরিবারগুলি। কিন্তু সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, ওই জমি ছাড়তে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৯
Share:

আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটি শুনবে সর্বোচ্চ আদালত। ফাইল চিত্র।

প্রায় ২৯ একরের জমিটিতে বাস ৪৩৬৫টি পরিবারের। উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি রেলস্টেশনের কাছে বনভুলপুরা এলাকার এই জমিতে কয়েক দশক ধরে রয়েছে পরিবারগুলি। কিন্তু সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, ওই জমি ছাড়তে হবে। কারণ জমিটি রেলের। সাত দিনের নোটিসে সেটিকে ‘জবরদখল-মুক্ত’ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বার হলদোয়ানির কংগ্রেস বিধায়ক সুমিত হৃদয়েশের নেতৃত্বে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটি শুনবে সর্বোচ্চ আদালত।

Advertisement

হাই কোর্টের শুনানিতে রেল বলেছিল, ওই এলাকায় বসবাসকারীরা জমির মালিকানার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে সাংবাদিক বৈঠকে এআইসিসি-র সচিব কাজী নিজ়ামুদ্দিন বলেন, ‘‘ওঁরা ৭০ বছর ধরে ওই এলাকায় রয়েছেন। সেখানে মসজিদ, মন্দির, জলের ট্যাঙ্ক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দু’টি ইন্টার কলেজ এবং একটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। ১৯৭০ থেকে রয়েছে নিকাশি ব্যবস্থাও। প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের অনুরোধ, বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখে তথাকথিত এই ‘জবরদখল’ হটানোর কাজ বন্ধ করুন।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা (যাঁদের একটি বড় অংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের) বলছেন, শীতের মুখে এ ভাবে উচ্ছেদ করা হলে শুধু যে তাঁরা গৃহহীন হয়ে পড়বেন তা-ই নয়, স্কুলের বাচ্চাদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে যাবে। ওই জমিটিকে নিজের সম্পত্তি বলে রেল যে দাবি করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নিজ়ামুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘এই জমির কিছুটা তো সরকার লিজ়ে দিয়েছিল। জমি রেলের হলে সেটি লিজ়ে দেওয়া হয়েছিল কী ভাবে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement