প্রতীকী ছবি।
এখন থেকে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত গবাদিপশুর রক্ষক হল সে রাজ্যের হাইকোর্ট। সে রাস্তাঘাটে ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো গরু বা অন্য গবাদিপশু, সকলেরই আইনি রক্ষক হিসেবে দায়ভার গ্রহণ করল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। গবাদিপশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই বিচারপতি রাজীব শর্মা এবং বিচারপতি মনোজকুমার তিওয়ারির বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে।
হরিদ্বারে ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো গবাদি পশুদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কসাইখানায়। বেশ কিছু দিন ধরেই এই খবর আসছিল। তার বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। এই প্রথম দেশের কোনও হাইকোর্ট গবাদিপশুদের আইনি রক্ষক হল।
রক্ষক হয়েই বিচারপতির বেঞ্চ গবাদিপশুদের সুরক্ষিত করতে রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু নির্দেশও দেয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাজ্যের সমস্ত কসাইখানা নিষিদ্ধ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টায় অন্তত একবার রাজ্যজুড়ে পুলিশের পেট্রলিং দরকার। পুলিশের কাজ হবে কসাইখানায় কোনও গরু যাতে না থাকে তা দেখা। গরু এবং গোমাংসের বিক্রি বন্ধ করতে হবে। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো সমস্ত গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে হবে।
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর আওতায় সকলেই, গড়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়, কল্পতরু মমতা
এই নির্দেশ ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে কি না তার তদারকি করতে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট কুমায়ূন এবং গঢ়বালের জন্য দুটো আলাদা স্কোয়াড গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে।
কেন গবাদিপশুদের এই ‘এলাহি’ ট্রিটমেন্ট দিতে চলেছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে ওই দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি রাজীব শর্মা বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মমতে প্রতিটা পশুই ঈশ্বরের অংশ। আমাদের মতো তাদেরও সমস্ত অনুভূতি রয়েছে। তাদেরও খাদ্য, জল, বাসস্থান, চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাদের উপর কোনও রকম অত্যাচার করা উচিত নয়।’’