National news

ত্রাণ তহবিল থেকে বিরাটকে ৪৭ লক্ষ টাকা? বিতর্কে উত্তরাখণ্ড সরকার

বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার উন্নয়নের বদলে ত্রাণ তহবিলের টাকা গেছে বিরাট কোহালির পকেটে! এক মিনিটের একটি ভিডিওতে শুট করার জন্য উত্তরাখণ্ডের বন্যা ত্রাণ তহবিল থেকে কোহালিকে ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৯:১২
Share:

ফাইল চিত্র।

বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার উন্নয়নের বদলে ত্রাণ তহবিলের টাকা গেছে বিরাট কোহালির পকেটে! এক মিনিটের একটি ভিডিওতে শুট করার জন্য উত্তরাখণ্ডের বন্যা ত্রাণ তহবিল থেকে কোহালিকে ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল! সম্প্রতি অজেন্দ্র অজয় নামে উত্তরাখণ্ডের এক বিজেপি নেতা এই তথ্য সামনে আনেন। তথ্য জানার অধিকার আইন (আরটিআই)-এ আবেদন করে এই তথ্য জানতে পারেন তিনি। তার পর থেকেই সমালোচনায় নাজেহাল ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বরাদ্দ অর্থ কেন অন্য কাজে লাগানো হবে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Advertisement

২০১৫ সালে উত্তরাখণ্ডের পর্যটনের প্রচারে একটি ভিডিও শুট করেন রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বিরাট কোহালি। এই বিতর্কের শুরু তখন থেকেই। জানা যায়, মাত্র ১ মিনিটের ওই ভিডিওর জন্য কোহালিকে ৪৭ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর সেই টাকার পুরোটাই নাকি এসেছিল ত্রাণ তহবিল থেকে। ওই ত্রাণ তহবিলের টাকা বরাদ্দ ছিল ২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ডের বন্যা দুর্গতদের জন্য। ২০১৫ সালেও এ নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছিল। কিন্তু তখন উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে জবাব চেয়েও পাওয়া যায়নি। তার পরই আরটিআইয়ে আবেদন করেন ওই বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুন: আপনি মুসলিম? আমেরিকায় হেনস্থার শিকার মহম্মদ আলির ছেলেও

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘পর্যটন রাজ্যের অর্থনীতির মেরুদন্ড। পর্যটনের উন্নতির জন্য এই খরচ করা হলে ক্ষতির কী আছে?’’ তাছাড়া পুরোটা আইন মেনেই করা হয়েছে, তাই এই অভিযোগটাই ভিত্তিহীন বলে তিনি মনে করেন। বিরাটের সংস্থা কর্নারস্টোন স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট-র সিইও বান্টি সাজদে আবার টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। বিরাট কোহালি এবং উত্তরাখণ্ডের মধ্যে এমন কোনও লেনদেন হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রথমে এই লেনদেনকে আইনি বলে মন্তব্য করলেও বিরাটের সংস্থার সিইও তা অস্বীকার করেছেন জানার পর সুরেন্দ্র কুমারও তাঁর মন্তব্যের মোড় ঘুরিয়ে ফেলেন। আরটিআইয়ের নামাঙ্কিত ওই তথ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ সবের মধ্যে বিজেপির কোনও কারসাজি থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁর। তাই ঠিক কী হয়েছে, ওই টাকা আদৌ দেওয়া হয়েছে কি না, দিলে কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement