সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ফাইল চিত্র। পিটিআই।
উত্তরাখণ্ডের চামোলির বিপর্যয়ের পর দু’সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও ১৩৬ জনের কোনও হদিশ মেলেনি। নিখোঁজ এই ১৩৬ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হতে পারে বলে দাবি করেছে প্রশাসনিক এক সূত্র।
সোমবার পর্যন্ত ৬৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে তপোবনের বিদ্যুৎপ্রকল্পের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের মধ্যে। বাকিদের দেহ মিলেছে আশপাশ এলাকা থেকেই।
সূত্রের খবর, সাধারণত কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার পর সাত বছর তাঁর কোনও হদিশ না পাওয়া গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু চামোলির ঘটনায় নিখোঁজদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা বলেই দাবি ওই সূত্রের। এ ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অব বার্থস অ্যান্ড ডেথস আইন, ১৯৬৯ অনুসরণ করা হতে পারে। এই আইন অনুযায়ী কোনও নিখোঁজ ব্যক্তিকে সাত বছরের আগেই মৃত বলে ঘোষণা করা যেতে পারে। নিখোঁজদের পরিবারকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে ডিএনএ-র নমুনা পরীক্ষার জন্য।
নিখোঁজদের মৃত বলে ঘোষণা করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে ওই সরকারি সূত্রের দাবি। মৃতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২ লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নন্দাদেবী পাহাড় থেকে তুষারধস নেমে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। যার জেরে ২০০-রও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। ৬৮ জনের দেহ উদ্ধার হলেও বাকি নিখোঁজদের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি।