ভেসে গিয়েছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: পিটিআই।
এই শতাব্দীর গোড়া থেকে শুরু করে প্রতি বছর দেড় ফুটেরও বেশি উচ্চতার বরফ গলে যাচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহগুলিতে। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন। ২০১৯ সালের এক গবেষণায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এই বিপদসঙ্কেত। হিমবাহ ভেঙে চামোলীর হড়পা বানের পরে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সেই গবেষণা।
‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ পত্রিকায় ২০১৯ সালের জুনে প্রকাশিত হয়েছিল গবেষণাটি। ভারত, চিন, নেপাল, ভুটান জুড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গত চল্লিশ বছর ধরে উপগ্রহের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছিল। সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, ১৯৭৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত যে গতিতে বরফ গলছিল হিমালয়ের হিমবাহগুলিতে, ২০০০ সালের পর থেকে গলছে তার দ্বিগুণ গতিতে। প্রধান গবেষক, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোশুয়া মরার বলেছিলেন, গত চার দশকে হিমবাহগুলির চার ভাগের এক ভাগই গলে গিয়েছে।
মোদী সরকারের প্রথম দফায় জলসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন উমা ভারতী। আজ তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘আমার আমলে মন্ত্রকের তরফে উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের বাঁধগুলি সম্পর্কে হলফনামা দিয়ে বলা হয়েছিল, সেটি সংবেদনশীল এলাকা। ফলে গঙ্গা ও তার প্রধান উপনদীগুলির উপরে যেন বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা না-হয়।’’