মৃত পর্বতারোহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ ।
উত্তরাখণ্ডের তুষারধসে মৃত পর্বতারোহীদের ১২ জনের দেহ উদ্ধার করা হল। তবে এখনও নিখোঁজ অন্তত ২০ জন। উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া পর্বতারোহীদের প্রত্যেকেই শিক্ষানবীশ ছিলেন। এর আগে আরও দু’জন শিক্ষানবীশ পর্বতারোহী এবং দু’জন প্রশিক্ষকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে তুষারধসে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬ ছুঁল।
সম্প্রতিই গঢ়ওয়াল হিমালয়ের ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা ২’ শিখরের অদূরে তুষারধসের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া পর্বতারোহীদের প্রত্যেকেই ছিলেন উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (নিম)-এর শিক্ষার্থী নয়তো প্রশিক্ষক। শিখর ছুঁয়ে নেমে আসার পথে পাহাড়ে তুষারধসের কবলে পড়েন তাঁরা।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজি অশোক কুমার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতার তুষারধসের খবর পাওয়া যায়। এর পরেই রওনা হয় বায়ুসেনার কপ্টার। প্রথম দফায় বেশ কয়েকজন পর্বতারোহীকে উদ্ধার করে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় একটি হেলিপ্যাডে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু তারপরও নিখোঁজ ছিলেন অনেকে।
নিমের ৬১ সদস্যের একটি দল গঢ়ওয়াল ‘হিমালয়ের দ্রৌপদী কা ডান্ডা ২’ শিখরে হাতে কলমে উন্নততর প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিল। দলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হলেও বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষকও ছিলেন। এঁদের মধ্যে অনেককেই উদ্ধার করা গেলেও এখনও ২০ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
গঢ়ওয়াল হিমালয়ের ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ শৃঙ্গের উচ্চতা ৫,৬৭০ মিটার। ওই অঞ্চল দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসাবেও পরিচিত। পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাহাড়ের ঢালে জমা তুষারে স্তূপ হঠাৎ ধসে গিয়েই প্রাণ গিয়েছে ওই পর্বতারোহীদের। ওই দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলার তিন জনও ছিলেন। তবে এখনও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।