—প্রতীকী ছবি।
স্বামী গিয়েছিলেন কাজে। ঘরে আট বছরের পুত্রসন্তানের সঙ্গে একা ছিলেন তাঁর মা। তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের কথা পুত্র জানতে পেরে গিয়েছিল বলে মনে সন্দেহ জাগে ২৮ বছরের তরুণীর। সম্পর্কের কথা গোপন করতে পুত্রকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠল তরুণীর বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার সিরহৌল গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার সন্তানকে খুনের অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত তরুণীর নাম পুনম দেবী।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিরহৌল গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন পুনম এবং তাঁর স্বামী অরবিন্দ কুমার। পেশায় দিনমজুর অরবিন্দ। সোমবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে অরবিন্দ জানান, বিকেলে তাঁকে প্রতিবেশীরা খবর দেন যে, তাঁর পুত্র অসুস্থ বোধ করছে। সেই কথা শুনে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যান অরবিন্দ। বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন, প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বাড়ির মেঝেতে অচেতন অবস্থায় শুয়ে রয়েছে তাঁর পুত্র এবং সন্তানের সামনে বসে কান্নাকাটি করছেন তাঁর স্ত্রী পুনম।
ভাল করে দেখতেই পুত্রের গলার কাছে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করেন অরবিন্দ। সঙ্গে সঙ্গে সন্তানকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অরবিন্দের দাবি, পুনমই তাঁর সন্তানকে গলা টিপে খুন করেছেন। থানায় পুনমের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। অরবিন্দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পুনম। সেই কথা কোনও ভাবে জানতে পেরে যায় তাঁর সন্তান। সত্য গোপন রাখতেই পুত্রের গলা টিপে খুন করেন তিনি। তবে এই বিষয়ে আরও প্রমাণ জোগাড় করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।