প্রতীকী ছবি।
ভাগ্য করে বউ পাওয়া যায়— এ কথা হয়তো শুনেছেন। কিন্তু লটারিতে বউ পাওয়া যায়— এ রকম কথা আগে শুনেছেন কখনও? সম্প্রতি এ রকম অদ্ভুত ঘটনারই সাক্ষী থেকেছে উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকরনগরের একটি গ্রাম।
অম্বেডকরনগরের টান্ডা থানা এলাকার এক তরুণী দিন পাঁচেক আগে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৪ যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকরা আজিমনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যুবকের আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু ঘটনা সামনে আসতেই তাঁরা গ্রামে ফিরতে বাধ্য হন। ইতিমধ্যেই তরুণীর বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গ্রামবাসীরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করা থেকে বিরত করেন তাঁদের।
এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েতের সভা বসে। সেখান থেকে তরুণীর পরিবারকে প্রস্তাব দেওয়া হয় ৪ জনের মধ্যে কোনও ১ যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে তরুণীর। তাঁর পরিবারও তাতে সম্মতি দেয়। কিন্তু ওই ৪ জনের মধ্যে কাকে বিয়ে করবেন তরুণী? এ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। কারণ ওই তরুণী ঠিক করতে পারছিলেন না কাকে বিয়ে করবেন তিনি। কারণ, ৪ যুবককেই পছন্দ ছিল তাঁর। কাকে সবথেকে বেশি পছন্দ তা ঠিক করতে পারছিলেন না। অপর দিকে যুবকরাও ঠিক করতে পারছিলেন না কী করবেন।
তখন পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা ঠিক করেন, ৪ যুবকের নাম লেখা কাগজ রাখা হবে একটি পাত্রে। চারটির মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া কাগজে যাঁর নাম থাকবে তিনিই বিয়ে করবেন তরুণীকে। সেই মতো একটি পাত্রে রাখা ছিল নাম লেখা কাগজ। গ্রামের একটি বাচ্চাকে সেখান থেকে কাগজ তুলতে বলা হয়। সেই কাগজে যে যুবকের নাম ছিল তাঁকেই বিয়ে করেছেন তরুণী। মেয়েটির ব্যক্তিগত বিষয়টির কথা মাথায় রেখে গ্রামবাসীরা এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।